আসরজুড়ে দাপট দেখানো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটসম্যানরা আসরের ফাইনালে এসে অনেকটাই মলিন। শুক্রবার (১ মার্চ) শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মিরপুরে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয় ও জনসন চার্লসের মতো তারকারা থিতু হয়েও বড় স্কোর করতে পারেননি। অবশ্য ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে রাসেলের শেষ মুহূর্তের ক্যামিওতে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে কুমিল্লা। বরিশালকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।
শুরুতে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলে পেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন অঙ্কন।
ম্যাচের প্রথম ওভারে পঞ্চম বলে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। কাইল মেয়ার্সের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন সুনিল নারাইন; আউট হওয়ার আগে নারাইন করেন ৪ বলে ৫ রান।
এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লিটন দাস। তবে হৃদয় উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনফর্ম এই ব্যাটার ১০ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটনও। কুমিল্লার অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৬ রান। চারে নেমে জনসন চার্লস আশা দেখালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ রানে থেমেছে তার ব্যাট।
ইংল্যান্ডের মঈন আলিও কিছু করে দেখাতে পারেননি; সাজঘরে ফিরেছেন ৬ বলে ৩ রান করে। ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে ছন্নছাড়া কুমিল্লার হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।
অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান করে কুমিল্লাকে লড়াইয়ের পুঁজি করে দেন রাসেল। অন্যদিকে, ২০ রানের ইনিংসে অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন জাকের আলি।