আর মাত্র কয়েকদিন পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সবচেয়ে বড় আসরের ঠিক আগ মুহূর্তে ব্যাটে-বলে হতশ্রী পারফরমেন্স বাংলাদেশের।
বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে দারুণ সুযোগ স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ। তবে সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হতাশ করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ম্যাচে আইসিসির সহযোগী ও নবীন দেশটি হারিয়ে দিয়েছে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ বাংলাদেশকে।
সেই হারের ধাক্কা কাটিয়ে তলানিতে থাকা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হিউস্টনের প্রেইরি ভিউয়ে ক্রিকেটে মাত্রই যাত্রা শুরু করা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব-মাহমুদুল্লাহ-মোস্তাফিজরা।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দশ ধাপ পিছিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে বাঁচাতে আজ জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সামনে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা, আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াবে বাংরাদেশ। সেজন্য অবশ্য আক্রমণাত্মক, আগ্রাসী ক্রিকেটের বিকল্প নেই।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরেছে ৫ উইকেটে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ, অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা ছিল না বাংলাদেশের। এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারান সফরকারী ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ফিফটি (৫৮) ও মাহমুদউল্লাহর (৩১) ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন স্বাগতিক ওপেনাররা। ৩ ওভারে ২৭ রান তোলার পর যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল (১০) শরিফুলের দুর্দান্ত থ্রো–তে রান আউট হয়ে যান। তবুও টি-টোয়েন্টির মেজাজ ধরে রেখে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার স্টিভেন টেলর ও অ্যান্দ্রিস গুস। ১৮ বলে ২৩ রান করা গুসকে ফেরান রিশাদ হোসেন।
এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে স্বাগতিকরা আরও দুই উইকেট হারায়। ২৮ রানে টেলর এবং অ্যারন জোন্সকে ৪ রানে ফেরান ফিজ। তাতে স্বাগতিকরা চাপে পড়ে রানের গতি কমিয়ে দেয়। পরে ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র, ১০ রান করা নিতীশ কুমারকে আউট করেন শরিফুল। এরপর অ্যান্ডারসন ধীরগতিতে খেললেও, বাউন্ডারি খেলে তাতে ভারসাম্য বজায় রাখেন হারমিত। তাদের সেই জুটিই ইতিহাসগড়া জয় এনে দেয় স্বাগতিকদের।
টাইগারদের হয়ে মুস্তাফিজ ২টি এবং রিশাদ ও শরিফুল একটি করে উইকেট দখল করেন।