আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ১৫৯ রানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমীকরণটা শেষ ওভারে এসে দাঁড়ায় ১৫ রানে। শেষ বলে জিততে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫ রান। পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফের করা সেই বলে স্ট্রাইকে থাকা নীতীশ কুমার চার মারলে ম্যাচ যায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে জোন্স ও হারমিত সিংয়ের সামনে এলোমেলো বোলিং করে ১৮ রান দিয়ে বসেন মোহাম্মদ আমির। যা যুক্তরাষ্ট্রের বাঁহাতি পেসার সৌরভ নেত্রভালকারের জন্য যথেষ্ট ছিল। সুপার ওভারে ১৯ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে সুপার ওভারে ব্যাট করেন ইফতেখার আহমেদ, ফখর জামান ও শাদাব খান।
বাবরের মতে, ম্যাচটা সুপার ওভারে যায় না। ৭ উইকেটে ১৫৯ রানের পুঁজি-যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তার আগেই জেতার মতো স্কোর।
বাবর বলেছেন, “দ্বিতীয় ইনিংসেও আমরা সাহায্য পেয়েছি। কিন্তু বোলিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা মানসম্পন্ন ছিলাম না। প্রথম ১০ ওভারে এটার ঘাটতি ছিল। আমরা তারপর ফিরে এলেও ওরা তার আগেই মোমেন্টাম পেয়েছে। তবে আমাদের বোলিং বিচারে (রানের) পুঁজিটা ডিফেন্ড করা উচিত ছিল। এই পিচে আমাদের বোলিং বিচারে এটা ডিফেন্ড করার মতোই পুঁজি ছিল।”
যুক্তরাষ্ট্রকে অভিবাদন জানিয়েছে বাবর বলেন, “বোলিংয়ে আমরা এর চেয়ে ভালো। প্রথম ৬ ওভারে আমরা উইকেট নিতে পারিনি। মাঝের ওভারগুলোয় স্পিনারেরা উইকেট নিতে না পারলে চাপে পড়তেই হবে। ১০ ওভার পর আমরা ম্যাচে ফিরলেও সুপার ওভারে ওরা ম্যাচটা যেভাবে শেষ করেছে তাতে কৃতিত্বটা যুক্তরাষ্ট্রেরই।”
আমিরের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসাই করলেন বাবর, “সে অভিজ্ঞ বোলার। সে জানে কীভাবে বোলিং করতে হয় এবং আমরা সে অনুযায়ীই ফিল্ডিং সাজিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানেরা বেশ স্মার্ট। বল উইকেটকিপারের হাতে থাকতেও তারা দৌড়েছে (রানের জন্য)। সুপার ওভারে এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট ছিল।”