জয়ের জন্য ১২৫ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ইনিংসের মাত্র তৃতীয় বলেই মিড অনে ক্যাচ শিখিয়ে আউট হন সৌম্য। তখন তার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। বিস্ময়ে কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে রইলেন ক্রিজে। এরপর ধীর পায়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
সৌম্যর ওই আউটের পরই আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের মুখের হাসি সম্ভবত চওড়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা যে সৌম্যর ১৩তম “ডাক”।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এত দিন সর্বোচ্চ সংখ্যকবার “শূন্য” রানে আউট হওয়ার বিব্রতকর বিশ্ব রেকর্ডটি ছিল স্টার্লিংয়ের একার দখলে। ১৫ বছরের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৪৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ১৩বার “শূন্য” রানে আউট হয়েছেন পল স্টার্লিং।
তবে সৌম্য সরকারের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের বয়স স্টার্লিংয়ের প্রায় অর্ধেক। ম্যাচ এবং ইনিংস সংখ্যায়ও প্রায় অর্ধেক। কিন্তু আজ “শূন্য” রানে আউট হওয়ায় সৌম্য এবং স্টার্লিং এখন সমানে সমান।
অন্যদিকে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শার্মা ১৪৪ ইনিংসে ১২টি শূন্য নিয়ে আরও দুইজনের সঙ্গে তালিকার দুই নম্বরে অবস্থান করছেন।
গত কিছুদিন ধরে সৌম্যর ব্যাট যেন ঘুমন্ত! ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছিলেন সৌম্য। ২ বল খেলে “শূন্য” রান করে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে এক সমর্থক বলে উঠেন, “আপনাকে দিয়ে আর হবে না ভাই। আপনি তো ‘শূন্য সরকার’ হয়ে গেলেন।”
২০২১ সালে পাঁচ ইনিংসের মধ্যে তিনটি ফিফটি করে নিজের সামর্থ্যের জানান দেন সৌম্য। এরপর থেকে শুধুই হতাশা। সব মিলিয়ে ৮৩ ইনিংস খেলে ৫টি ফিফটিতে সৌম্যর সংগ্রহ ১,৩৯৮ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ৮০ ইনিংস ব্যাটিং করা ৩৭ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তারচেয়ে কম রান শুধু জর্জ ডকরেলের (১,১১৮ রান)। যিনি ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই খেলেছেন নিচের দিকে।