ম্যাচের আগে নেইমারের ফাউল আদায়ের প্রবণতা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন মেক্সিকো খেলোয়াড়ারা। মেক্সিকোর শঙ্কার সঠিক প্রতিফলন হয়েছে মাঠে। তাইতো নেইমারের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেক্সিকান কোচ হুয়ান কার্লোস ওসোরিও।
ম্যাচে যুক্তিপূর্ণ ফাউল হলে তা রেফারির নজরে আসে। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে রেফারির সহানুভূতি পেতে মাঠে গড়াগড়ি দিতে দেখা যায় খেলোয়াড়কে। এই দৌড়ে সবার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে নেইমার।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের এমন আচরণ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন ওসোরিও,“দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা ফুটবলের জন্য লজ্জার। একজন খেলোয়াড়ের কারণে আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছিলাম।”
মেক্সিকো ম্যাচে ৭২তম মিনিটে ফাউলের শিকার হয়ে মাঠে গড়াগড়ি দিতে থাকেন নেইমার। এই দৃশ্য দেখে বিবিসির ধারাভাষ্যকার কনর ম্যাকনামারা মন্তব্য করেন, “সে এমনভাবে গড়াগড়ি দিচ্ছিল যেন তাকে কুমির কামড়েছে; যেন সে একটা অঙ্গ হারিয়ে ফেলেছে।”
"It’s a shame for football. It’s a man’s sport and there shouldn’t be so much play acting."- #Osorio #BRAMEX #WorldCup https://t.co/YHtoU0bx5t pic.twitter.com/6zzQZn7Rge
— Helene Jnane (@HeleneJnane) July 3, 2018
তবে বাস্তত চিত্র হলো রাশিয়ার আসরে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি (২৩বার) ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। কিন্তু অভিনয় আর অযথা গড়াগড়ি দেওয়ার কারণে তিনি উপহাসের পাত্রও হয়েছেন।
ম্যাচের ৭২তম মিনিটের ঘটনায় রেফারির সমালোচনা করে ওসোরিও বলেন, “ম্যাচে ব্রাজিলকে পুরোপুরি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ওই সময় চার মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। বিশ্ব ফুটবলের জন্য এবং যেসব শিশুরা ফুটবল অনুসরণ করে তাদের জন্য এটা খুবই নেতিবাচক উদাহরণ।”
ওসোরিও’র অভিযোগের পাল্টা জবাবে তিতে জানালেন, “আমি ওসোরিওর কথার জবাব দিব না। আমি দেখেছি কি ঘটেছে। আমি একেবারে পাশেই ছিলাম এবং আমি এটা টিভিতে আবার দেখেছি। আমার কিছু বলার দরকার নেই। আপনাদের কেবল এটা দেখতে হবে।”
তবে, বাস্ততার চিত্রে সব কিছু সহজের ধরা দেয় দর্শকের চোখে। প্রকৃত অর্থ বিচারে সমালোচক হতে হয় না, সমর্থক কিংবা সমালোচক উভয় বুঝেন পরিস্থিতি।