চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জিতলো আর্সেনাল। এর আগে গানারদের মাঠে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে পা রেখেছে প্রিমিয়ার লিগের দল আর্সেনাল। আর্সেনাল সেমিফাইনালে ওঠেছে ১৬ বছর পর।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নিজেদের মাঠ প্রথমার্ধে হতাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ। গোলশূন্য প্রথমার্ধে গোলে কোনো শটই নিতে পারেনি তারা। অবশ্য রিয়ালের কামব্যাকের স্বপ্ন প্রথমার্ধে শেষ করে দেওয়ার সুযোগ হারায় আর্সেনালও। পেনাল্টি পেয়ে তা মিস করেন বুকোয়াকা সাকা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরেকটি অন্যতম সেরা প্রত্যাবর্তন দেখার বাসনা নিয়ে স্বাগতিক দর্শকরা গ্যালারিতে বসেছিল। কিন্তু শুরুতেই তাদেরকে প্রায় নিস্তব্ধ করে দিতে বসেছিল গানাররা। অতিথিদের কর্নার নেওয়ার সময় অযথাই মিকেল মেরিনোকে ফাউল করে বসেন রিয়ালের রাউল আসেনসিও। ভিএআর মনিটর দেখে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান।
সাকা পানেনকা স্টাইলে শট বেছে নিয়েছিলেন বুকোয়াকা সাকা। রিয়াল কিপার থিবো কোর্তোয়া তার মন পড়তে পেরেছিলেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে তিনি বাঁ হাতে বল ঠেকান।
রিয়ালের জন্য দারুণ সম্ভাবনা জাগে কিছুক্ষণ পর। তাদের ফ্রি কিক নেওয়ার সময় বক্সের মধ্যে রাইসের মৃদু ছোঁয়ায় পড়ে যান কিলিয়ান এমবাপ্পে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। তবে পাঁচ মিনিট পরও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে ভিএআর মনিটরের কাছে যান রেফারি। তারপর সিদ্ধান্ত বদলে ফেললে রিয়াল দর্শকদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
হাফটাইমের আগে আর্সেনাল কিপার ডেভিড রায়াকে কোনো সেভ করতে হয়নি। রিয়ালের আক্রমণ ডিফেন্ডাররাই নস্যাৎ করে দিয়েছে এই সময়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করেন পেনাল্টি মিস করা বুকোয়াকা সাকা। গানারকে দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে ও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন। এক মিনিট পরই ব্যবধান কমান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু কামব্যাক করার মতো সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি। বরং যোগ করা সময়ে আর্সেনালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মার্টেনেল্লি রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।