বার্সেলোনার কর্তারা পিএসজি তারকাকে কেনার চেষ্টাই করেননি। এমবাপে তাদের খেলার ধরনের সঙ্গে যায় না, এই যুক্তিতেই নাকি তার পরিবর্তে ডেম্বেলেকে কেনে বার্সা
রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর জন্যই আক্ষেপের এক নাম কিলিয়ান এমবাপে। গত মৌসুমে এমবাপেকে কেনার জন্য সবার আগে চেষ্টা চালায় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর লোভনীয় প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিয়ালকে টেক্কা দিয়ে এমবাপেকে কিনে নেয় পিএসজি। আর বার্সেলোনা? কেনার সুযোগ পেয়েও এমবাপের প্রতি আগ্রহই দেখায় নি বার্সেলোনা!
এমবাপেকে না কিনে বার্সেলোনা কিনেছে তারই স্বদেশি উসমানে ডেম্বেলেকে। বার্সেলোনার কর্তারা এ নিয়ে আক্ষেপের কথা প্রকাশ না করলেও তাদের মনের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন হোসে মারিয়া মিনগুয়েয়া। মিনগুয়েয়া স্পেনের খ্যাতিমান এজেন্টদের একজন। লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তির পেছনে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহোর খোঁজটাও বার্সেলোনাকে দিয়েছিলেন তিনিই। তিনিই আর্জেন্টিনা থেকে ন্যু-ক্যাম্পে নিয়ে এসেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে।
বর্ষিয়ান এই এজেন্ট ন্যু-ক্যাম্পে নিতে চেয়েছিলেন এমবাপেকেও। কিন্তু বার্সেলোনার কর্তারা পিএসজি তারকাকে কেনার চেষ্টাই করেননি। এমবাপে তাদের খেলার ধরনের সঙ্গে যায় না, এই যুক্তিতেই নাকি তার পরিবর্তে ডেম্বেলেকে কেনে বার্সা!
স্পেনের ক্রীড়া দৈনিক ‘স্পোর্ত’-এ নিজের লেখা কলামে বার্সেলোনার এই আক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেছেন মিনগুয়েয়া। লিখেছেন, বার্সেলোনা এমবাপেকে কেনার সুযোগ পেয়েও কিনেনি। এমবাপে তখন ফ্রান্সেরই আরেক ক্লাব মোনাকোতে ছিলেন। কিন্তু তাকে কেনার জন্য তখনো রিয়াল মাদ্রিদ বা পিএসজি এতটা উঠেপড়ে লাগে নি।
ঠিক ওই সময়ে এমবাপের খোঁজ দেন মিনগুয়েয়ার ছেলে। যিনি নিজেও একজন এজেন্ট। এমবাপের বাবা এবং আইনজীবীর সঙ্গে তার ছেলের কথা হয় জানিয়ে মিনগুয়েয়া লিখেছেন, ‘এমবাপের পরিবারের আইনী বিষয়গুলো যিনি দেখতেন, তার সঙ্গে ওর (ছেলে) কথা হয়েছিল। তিনি ওকে বলেছিলেন, বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি করার বিষয়ে এই ছেলে (এমবাপে) ভাবছে না। কারণ, বার্সেলোনার আক্রমণভাগে তখন মেসি, নেইমার, সুয়ারেজের মতো খেলোয়াড়েরা ছিলেন।’
না ভাবলেও সুযোগটা ছিল। কারণ, এমবাপের বাবা নিজে থেকেই মিনগুয়েয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে ছেলের দলবদলের বিষয় নিয়ে কথা বলেন। অনুরোধ করেন তার ছেলেকে (এমবাপে) বড় কোনো ক্লাব কিনতে চায় কিনা, সেটি দেখার জন্য। এমনকি মিনগুয়েয়াকে নিজের ফোন নম্বরও দেন এমবাপের বাবা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ডেম্বেলেকেই বেছে বার্সেলোনা। এমবাপেকে কেনার কোনো চেষ্টাই করেনি তারা। রাশিয়া বিশ্বকাপের মাধ্যমে এমবাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কতটা বিস্ময় লুকিয়ে ছিল তাঁর মধ্যে।
মতামত দিন