গত ২৫ আগস্ট এক ফ্যাক্স বার্তায় চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করে ফ্রি ট্রান্সফারে কাম্প নউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান মেসি
অবশেষে কাটলো মেসি-বার্সেলোনা সম্পর্কের অচলাবস্থা। চুক্তির কোটা পূরণ করতে আগামী মৌসুম বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লিওনেল মেসি।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) গোল ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০২০-২১ মৌসুমে বার্সেলোনায় থাকার বিষয়টি নিজেই জানান মেসি। তবে ইচ্ছের বিরুদ্ধেই যে কাম্প নউয়ে থাকতে যাচ্ছেন, তা তার কথাই স্পষ্ট হয়েছে।
মেসি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এবং নিশ্চিত ছিলাম যে ইচ্ছে করলেই ক্লাব ছাড়তে পারি। সভাপতি সবসময় বলতো মৌসুম শেষে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারব যে আমি থাকব না চলে যাব।”
গত ২৫ আগস্ট এক ফ্যাক্স বার্তায় চুক্তির একটি ধারা কার্যকর করে ফ্রি ট্রান্সফারে কাম্প নউ ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান মেসি। তবে বার্সেলোনার দাবি, ওই ধারা কার্যকর করার মেয়াদ গত ১০ জুনে শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী হয় তাকে থাকতে হবে ২০২০-২১ মৌসুমের শেষ পর্যন্ত, নয়তো পরিশোধ করতে হবে রিলিজ ক্লজের পুরো ৭০ কোটি ইউরো।
গত ৩০ আগস্ট লা লিগাও বার্সেলোনার দাবির পক্ষে মত দেয়। চুক্তিপত্র পর্যালোচনা করে স্পেনের শীর্ষ লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্লাবটিতে মেসির চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করার শর্তটি এখনও কার্যকর আছে।
লা লিগার ওই মন্তব্যের জবাবে শুক্রবার মেসির পক্ষ থেকে “সংস্থাটির পর্যালোচনা ভুল” দাবি করে পাল্টা বিবৃতি দেন তার বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি। তবে বার্সেলোনায় আগামী মৌসুম আর্জেন্টাইন তারকা থাকবেন কিনা, সেসম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা ছিল না।
অবশেষে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) তারা আলোচনায় বসে। আর্জেন্টাইন তারকার পক্ষে ছিলেন তার বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি, ভাই রদ্রিগো ও একজন আইনজীবী। আর কাতালান ক্লাবটির পক্ষে ছিলেন সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও কর্মকর্তা হাভিয়ে বোর্দাস।
সেখানে কোনো সমাধান না মিললেও পরবর্তীতে তারা আবারও বসতে পারেন বলে ইঙ্গিত মেলে। তাতে আদালতের বাইরে সমস্যা সমাধানের আশাও জাগে।
মেসি বলেন, “আমার প্রিয় ক্লাবের বিপক্ষে কখনোই আমি আইনি লড়াইয়ে যাব না। একারণেই আমি বার্সেলোনায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মতামত দিন