উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন!
বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের এলিমিনেটরে মুখোমুখি হয়েছিল বেক্সিমকো ঢাকা ও ফরচুন বরিশাল। ম্যাচটিতে হারলেই বাদ পড়তে হবে এমন সমীকরণে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড চাপের মুখে ছিল বেক্সিমকো ঢাকা। কিন্তু চাপ সামলাতে না পেরে ঠাণ্ডা মাথার খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও ম্যাচ চলাকালে মেজাজ হারিয়েছিলে দুইবার!
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল। পরে ঢাকার দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ এ গিয়ে থেমে যায় বরিশাল। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ঢাকা কিন্তু ফিল্ডিং চলাকালে সতীর্থদের সঙ্গে বেশ উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে মুশফিকুর রহিমকে।
প্রথম ঘটনা বরিশালের ইনিংসের ১৩ তম ওভারের সময়। ওই ওভারে নাসুমকে বিশাল দুটি ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। চাপের মুখেও এমন খরুচে বোলিংয়ে বিরক্ত হয়েছিলেন মুশফিক। পরের বলে মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নেন আফিফ। তখন বল কুড়িয়ে নাসুমের হাতে তুলে দেওয়ার সময় মুশফিককে মারমুখী আচরণ করতে দেখা যায়।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঘটে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শফিকুলের বলে শর্ট ফাইন লেগে আফিফ ক্যাচ তুলে দিলে পজিশন ছেড়ে সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকে দৌঁড়ে যান মুশফিক। ক্যাচটি নিতে একই সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন নাসুমও। যদিও শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে মুশফিককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ করে দেন, তবে ক্যাচটি নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন মুশফিক!
তবে অধিনায়কের কাছ থেকে এমন অপ্রত্যাশিত আচরণে বিস্মিত হন নাসুম। পরিস্থিতি সামলাতে তিনি তাৎক্ষণিকভাব মুশফিকের কাঁধে হাত রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। মুশফিক তাতে সায় দেওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনাটি আর বড় হয়নি।
মতামত দিন