অ্যাপল-গুগলের মতো প্রযুক্তিপন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও চায়, তাদের নির্মিত স্মার্টফোন কম ব্যবহার করুক ব্যবহারকারীরা। এর পেছনেও অবশ্য কারণ রয়েছে। স্মার্টফোনে অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়লে, আসক্তি কমাতে হয় স্মার্টফোন ব্যবহার কমিয়ে দেবেন ব্যবহারকারীরা, নাহয় বিকল্প কোনো উপায় খুঁজে বের করবেন তারা।
এজন্য অ্যাপল ও গুগল সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ফিচার উন্মুক্ত করেছে, যাতে স্মার্টফোনসহ তাদের নির্মিত অন্যান্য প্রযুক্তি কম ব্যবহৃত হয়। এর আগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিডিয়ামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, ‘সাধারণত ধারণা করা হয়ে থাকে, ব্যবহারকারীদের আসক্তিতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে। যত বেশি ফোন ব্যবহার করা হবে, ততই তাদের লাভ। সেখানে থাকা অ্যাপ ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়বে। তবে, দীর্ঘমেয়াদী লাভের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া মোটেও কার্যকর নয়।’
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অ্যাপল ও গুগলের জন্য ‘আসক্তি’ ক্ষতিকর আচরণ; বরং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে উঠলেই তাদের লাভ বেশি। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা, থার্ড পার্টির বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার পর্যবেক্ষণ এবং অনলাইনে সময় কাটানোর বিষয়টি নিজেরাই নজরদারিতে রাখতে পারেন।
এজন্যই হয়তো, বিভিন্ন টুল ও ফিচার উন্মুক্ত করেছে অ্যাপল এবং গুগল। যাতে ব্যবহারকারীরা থার্ড পার্টি অ্যাপের বদলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের সাহায্যেই নিজেদের অনলাইনে সময় কাটানো ও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নজরদারিতে রাখতে পারেন।