Friday, March 28, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

আবারও চাঁদে যেতে ভারতকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে জাপান

নিখুঁতভাবে চাঁদের মাটিতে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়াও ভারতকে তাদের ‘নেভিগেশন গাইডেন্স সেন্সর’ ও ‘গাইডেন্স অ্যালগারিদম’ প্রযুক্তি দেবে জাপান। এগুলি চাঁদের দক্ষিণমেরু এলাকায়, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না সেখানেও নিখুঁত সফ্‌ট ল্যান্ডিং সম্ভব করে তুলবে

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০৭ পিএম

২০২০ সালে আবারও চাঁদের মাটিতে নামার সময় যাতে আর কোনও সমস্যা না-হয় তা নিশ্চিত করতে ভারতের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে জাপান।

এর আগে অরবিটার পাঠালেও চাঁদে এখনও যান নামায়নি জাপান। আগামীবছর চাঁদে প্রথমবার ল্যান্ডার নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। ল্যান্ডারটির নাম ‘স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন’ বা সংক্ষেপে ‘স্লিম’। খবর আনন্দবাজারের।

নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কেনজি হিরামাৎসু জানিয়েছেন, ‘‘চন্দ্র অভিযানের প্রশ্নে ভারত যে ভবিষ্যতে তার অবদান রেখে যাবে, সে ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আর তাদেরসঙ্গে জাপানের গর্বিত উপস্থিতিও থাকবে।’’

বিক্রম নীচে নামতে নামতে চাঁদের ছবি তুলে নামার উপযুক্ত স্থল ঠিক করে নিয়ে পালকের মতো নামবে, এমনটাই ঠিক থাকলেও শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ২.১ কিলোমিটার ওপরে থাকতেই তারসঙ্গে ইসরোর যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার পরে তথ্য বিশ্লেষণ করে ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অবতরণ ঠিক মতো হয়নি। এখনও পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ফেরানো যায়নি। সময় যত গড়াবে, কাজটা ততই কঠিন হয়ে পড়বে। জাপানের প্রযুক্তি পাওয়া গেলে আগামীবছরের অভিযানে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

জাপানের স্লিম ল্যান্ডারও চাঁদের ছবি তুলতে তুলতে নামবে। তবে সাধারণ মোবাইল ক্যামেরাতেও যেমন মুখের অবয়ব চেনার (ফেস রেকগনিশন) ব্যবস্থা থাকে, স্লিমে থাকবে তার উন্নততর সংস্করণ। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উঁচু-নীচু বা সমতল অংশ অনেক ভালভাবে বুঝে নেবে ল্যান্ডার এবং ঠিকঠাক নামতে সাহায্য করবে। স্লিমের ওই অবতরণ প্রযুক্তি এবার ভারতের সঙ্গে ভাগ করে নেবে জাপান।

জাক্সার দাবি, ‘স্লিম’-এর অবতরণ প্রযুক্তি বিশ্বে প্রথম, যা নিখুঁতভাবে চাঁদের মাটিতে নামার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম। এছাড়াও ভারতকে তাদের ‘নেভিগেশন গাইডেন্স সেন্সর’ ও ‘গাইডেন্স অ্যালগারিদম’ প্রযুক্তিও দেবে জাপান। এগুলি চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায়, যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, সেখানেও নিখুঁত সফ্‌ট ল্যান্ডিং সম্ভব করে তুলবে।

দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামীবছরই জাপান এয়ারস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জাক্সা)-র সঙ্গে যৌথভাবে চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ইসরো। এটি অবশ্য কোনও নতুন উদ্যোগ নয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারত ও জাপানের মধ্যে চন্দ্রাভিযান নিয়ে চুক্তি হয়েছিলো। ২০১৭ সালে তা রূপায়ণের ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত হয়। ২০১৮ সালে যৌথ অভিযানের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়।

   

About

Popular Links

x