Monday, July 14, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

হ্যাকারদের চ্যালেঞ্জের একটু পরেই হ্যাক হলো ভারতের টেলিকম প্রধানের ‘আধার’ নম্বর

ভারত সরকারের পক্ষে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশান অথরিটি অফ ইন্ডিয়া র্কতৃক প্রদেয় বারো অঙ্কের একটি ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ সংখ্যা হলো আধার। ভারতের যে কোনো জায়গায় এই সংখ্যাটি পরিচিতি ও ঠিকানার প্রমান রূপে বিবেচিত হয়।

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৮, ০৩:২৪ পিএম

শনিবার ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির (ট্রাই) চেয়ারম্যান আর এস শর্মা নিজের টুইটারে ‘আধার’ নম্বর দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে লিখেছিলেন, ‘‘একটা প্রকৃত উদাহরণ দিয়ে দেখান, আধার নম্বরের মাধ্যমে কেউ আমার ক্ষতি করতে পারে।’’ এই পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টাও মধ্যেই হ্যাকাররা ট্রাই চেয়ারম্যানের জন্ম তারিখ, বাড়ির ঠিকানা, প্যান ও ভোটার নম্বর, মোবাইল নম্বর ও সার্ভিস প্রোভাইডার, ফোনের মডেল-সহ অন্তত ১৪টি তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেন। খবর আনন্দবাজারের।

ভারত সরকারের পক্ষে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশান অথরিটি অফ ইন্ডিয়া র্কতৃক প্রদেয় বারো অঙ্কের একটি ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ সংখ্যা হলো আধার। ভারতের যে কোনো জায়গায় এই সংখ্যাটি পরিচিতি ও ঠিকানার প্রমান রূপে বিবেচিত হয়। অনেকটা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্রের মতো হলেও আধার নম্বরে কার্ডধারীর তথ্য থাকে অনেক বেশি। 

আর এস শর্মার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে প্রমাণস্বরূপ অ্যাকাউন্টে এক টাকা জমাও দিয়েছেন হ্যাকারদের একজন। আর এস শর্মার টুইট

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ট্রাই প্রধানের ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টের তথ্যও পেয়েছেন হ্যাকাররা। এছাড়া এসবিআই ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটে তিন বছরের সাবস্ক্রিপশন বাবদ লেনদেন এবং আয়ুর্বেদিক পণ্য বিক্রিতে আধার ব্যবহারের তথ্য পর্যন্ত তাঁদের হাতে রয়েছে বলে দাবি হ্যাকারদের। 

ট্রাই প্রধান অবশ্য এখনও হ্যাকারদের এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন। 

তিনি বলেছেন, তিনি পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করবেন না। 

শনিবার তাঁরা দাবি করেছিলেন, জন্ম তারিখ, বাড়ির ঠিকানা, প্যান নম্বরের মতো তথ্য অন্য কোনওভাবে পেয়েছেন হ্যাকাররা, আধার নম্বরের সূত্রে নয়। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে  টাকা জমা পড়ার পর এখনও ট্রাই কর্তৃপক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসে নি।

   
Banner

About

Popular Links

x