Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ভয়েস অফ আমেরিকা বন্ধের সিদ্ধান্ত অবৈধ, ফেডারেল আদালতে মামলা

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে ফেডারেল আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, ০১:১৩ পিএম

ভয়েস অব আমেরিকাসহ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেট বন্ধ করার ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে ফেডারেল আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে মামলাটি করা হয়।

এতে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন বেআইনিভাবে ভয়েস অব আমেরিকা বন্ধ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে এটি আবার চালু করতে আদালতকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “এসব গণমাধ্যম বিশ্বের যে সকল দেশে নিজেদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই সেসব দেশসহ অন্যান্য দেশে কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে।”

নিউইয়র্কের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। যেখানে বাদী হয়েছে ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ও কয়েকটি ইউনিয়ন। আর এতে বিবাদী করা হয়েছে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া, কারি লেক ও সেখানে থাকা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যর্থ প্রতিনিধি অ্যারিজোনাকে।

মামলায় বলা হয়েছে, “বিশ্বের অনেক অংশে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হারিয়ে গেছে এবং শূন্যতা পূরণের জন্য কেবল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমই অবশিষ্ট রয়েছে।”

লেক সম্প্রচার সংস্থাটিকে একটি “ব্যাপক নষ্ট” হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যা ভেঙে দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা দরকার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে ভয়েস অব আমেরিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের উত্স হিসেবে প্রায়শই কর্তৃত্ববাদী দেশগুলো সংবাদ প্রচার করে আসছে। কংগ্রেসের অর্থায়নে এটি একটি চার্টারে মাধ্যমে সুরক্ষিত, যা সাংবাদিকতার নীতির আলোকে তার বিষয়বস্তু প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গত সপ্তাহে অবৈধভাবে এটি বন্ধ করে দিয়েছে। রিপাবলিকানরা অভিযোগ করেছেন যে সংবাদের উত্সটিতে বামপন্থী প্রচারণার প্রভাব রয়েছে। তবে এর পরিচালনকারীরা বলছেন, এটিকে বাস্তবে সমর্থন করা হয় না।

মামলায় বলা হয়, “দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে পুরোপুরি বন্ধ করার প্রয়াসে পুরো সংস্থাটির কাছে একটি বিশেষ কৌশল নিয়েছে।”

শুক্রবার এ বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকা ও কয়েকটি সহযোগী নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে থাকা ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এই সপ্তাহের শুরুতে নিউজম্যাক্সের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে, লেক ভয়েস অব আমেরিকাকে ‘একটি বৃহৎ নষ্ট জিনিস থেকে একটি অংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করার মতো’ বলে বর্ণনা করেন।

এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া ‘আমেরিকান করদাতাদের জন্য একটি বিশাল অপচয় এবং বোঝা- জাতির জন্য একটি জাতীয় সুরক্ষাঝুঁকি এবং অপূরণীয়ভাবে ভেঙে পড়েছে। যদিও এজেন্সির মধ্যে মেধাবী এবং নিবেদিতপ্রাণ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন, যা ব্যতিক্রম।”

যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের নির্বাহী পরিচালক ক্লেটন ওয়েইমার্স বলেন, “ভয়েস অব আমেরিকা এবং বৃহত্তর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমিউনিটিকে রক্ষায় কাজ করতে তার সংস্থা বাধ্য হয়েছে।”

মিডিয়া সম্পর্কিত অন্যান্য পদক্ষেপ

ভয়েস অব আমেরিকার সহযোগী কার্যক্রম রেডিও ফ্রি এশিয়ার মুখপাত্র রোহিত মহাজন জানান, শুক্রবার পদক্ষেপের পর ওয়াশিংটন অবিসের প্রায় ২৪০ জন বা ৭৫% কর্মীর জন্য অবৈতনিক ছুটি কার্যকর হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়াও বিদেশে সংবাদ সংগ্রহে সংস্থাটিকে সহায়তা করা ব্যক্তিদের সঙ্গে ফ্রিল্যান্স চুক্তি বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

রেডিও ফ্রি এশিয়াও কংগ্রেসের বরাদ্দকৃত তহবিল প্রবাহ অব্যাহত রাখতে মামলা করারও প্রত্যাশা করছে।

রেডিও ফ্রি ইউরোপ ও রেডিও লিবার্টি মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়াকে পরবর্তী অর্থ পরিশোধে বাধ্য করতে মামলা করেছে। আরএফই বা আরএল বর্তমানে ইউরোপ এবং এশিয়ার ২৩টি দেশে ২৭টি  ভাষায় সম্প্রচার করে।

মামলায় সংস্থাগুলো তহবিল প্রদানের অস্বীকৃতিকে নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেছে। বলেছে, এটি ইতোমধ্যে কার্যক্রমকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে বাধ্য করেছে। তারা যুক্তি দিয়েছে, “তার কংগ্রেসের দেওয়া বরাদ্দ তহবিল ছাড়া আরএফই ও আরএল তার সাংবাদিকতার বেশিরভাগ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হবে এবং একটি সংস্থা হিসাবে অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।?”

   

About

Popular Links

x