ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সিরাপ খেয়ে মোহাম্মদ ইয়াসিন খান (৭) ও মুরসালিন খান (৪) নামের দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার পর সারা দেশ থেকে ওই সিরাপের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
শনিবার (১২ মার্চ) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে পাঠাতে হবে।
এদিকে রবিবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের নজরপাড়া গ্রামে পৌঁছে দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে অধিদপ্তরের ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি। এই তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন ঢাকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আকিব হোসেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুজন উপ-পরিচালক, দুজন সহকারী পরিচালক ও একজন পরিদর্শক।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আকিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “যে ওষুধ নিয়ে কথা উঠেছে, সেটির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন সব ধরনের ওষুধের তদন্ত করে না, করার ক্ষমতাও রাখে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “দুই শিশুর দাদি, মা ও চাচার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। দুই শিশুকে সিরাপের বোতলের মুখের অংশের অর্ধেক পরিমাণ করে খাওয়ানো হয়েছে। এর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওষুধের মধ্যে কী এমন উপাদান ছিল যে, খাওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে প্রতিক্রিয়া করল। এটা রহস্যজনক। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। যেখানে ওষুধ প্রস্তুত করা হয়েছে, সেখানেও একটি বড় দল পাঠানো হয়েছে।”