ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণার পর বাড়িতে নেওয়ার পথে হঠাৎ নড়েচড়ে ওঠে একটি নবজাতক। এরপর আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত মারাই গেল নবজাতকটি।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বর্মা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও হালিমা খাতুন দম্পতির এই নবজাতকের জন্ম হয় গত রবিবার। জন্মের পর অসুস্থ থাকায় নবজাতককে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে তাকে “মৃত” ঘোষণা করে মৃত্যুসনদ’ দেওয়া হয়। স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহের শিকারিকান্দা বাইপাস এলাকায় যাওয়ার পর নবজাতকটি হঠাৎ নড়ে ওঠে। এরপর আবার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মধ্যরাতে মারা যায় সে।
শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে আমার মা আর ফুফুকে জানানো হয় বাচ্চা মারা গেছে। বিষয়টি আমাকে জানানোর পর আমি ত্রিশাল থেকে হাসপাতালে ছুটে এসে মৃত্যুর সনদ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করি। এরপর অর্ধ রাস্তায় যেতেই হঠাৎ আমার বাচ্চাটি নড়ে উঠে এবং বড় করে শ্বাস নিতে থাকে। দ্রুত গাড়ি ঘুরে আবারও হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসলে সেখান থেকে এনআইসিইউতে পাঠানো হয়।”
রাত ১২টার দিকে শিশুটি মারা যায় জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, “যে চলে যাওয়ার সে চলে গেছে। এ নিয়ে আমি আর কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাই না। এ ঘটনায় আমরা শোকাহত। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছি।”
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক জাকিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় কারও কোনো অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।