ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাজোর এলাকার “আরবি ব্রিকস” নামের একটি ইটভাটার জন্য ইটের কাঁচামাল হিসেবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে স্তূপ করে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি সেই মাটি কাটতে গিয়ে শ্রমিকেরা স্বর্ণ পেয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে সেখানে ভিড় করতে শুরু করেন গ্রামবাসী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই খবর আরও ছড়িয়ে পড়ার পর আশপাশের বিভিন্ন এলাকাসহ দূরদূরান্ত থেকেও লোকজন এসে সেখানে ভিড় করেন। কোদাল, খুনতি, শাবল যে পেরেছেন তা দিয়ে স্বর্ণের খোঁজে ঢিবির মাটি খুঁড়তে শুরু করেন।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই খোঁড়াখুঁড়ি চললেও কেউ সেখানে স্বর্ণ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু তাতেও যেন মানুষের আগ্রহের শেষ নেয়; খুঁড়েই চলছিলেন তারা।
আর এই খোঁড়াখুঁড়িকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। শনিবার রাতে রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেন।
এছাড়া, শনিবার রাত ও রবিবার সকালে মাইকিং করে এ আদেশের কথা জনসাধারণকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহাড়া বসানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরবি ব্রিকস নামের ইটভাটায় মাটির স্তূপ খুঁড়ে স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে—এমন খবরে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গার অসংখ্য মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে খুনতি, কোদাল, বাসিলা দিয়ে মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করছে। এতে যেকোনো সময় ঘটনাস্থলে মারামারি, খুন, জখমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইটভাটা ও আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের এ জেলা সম্পূর্ণ বন্যামুক্ত একটা জেলা। এখানের মার্টি উর্বর। এখানে চাষাবাদ করেই অনেকে গাড়ি-বাড়ি-স্বর্ণের মালিক হয়েছেন। ‘সোনার হরিণ’ নামক মরিচিকার পেছনে না ছুটে পরিশ্রম ও বিদ্যা বুদ্ধি মেধা নিয়োগ করেই সম্পদ অর্জন করতে হবে।”