গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বনের জমি উদ্ধারের সময় গ্রামবাসীর রোষানলে পড়েন বন বিভাগের কর্মীরা। এর জেরে সৃষ্ট সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩ জন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে উপজেলার চন্দ্রা বিট অফিসের আওতাধীন কালামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে যতটুকু জেনেছি দু'পক্ষই মারামারি করেছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।”
কালিয়াকৈর বন বিটের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল করীম বলেন, সংরক্ষিত বনভূমির ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া কালামপুর-খাজারটেক রাস্তা আট ফুট থেকে ১২ ফুট চওড়া করছে স্থানীয়রা। রাস্তার পাশেই আবার স্থানীয়দের একটি পক্ষ খুঁটি ও টিন দিয়ে বনের জায়গায় দোকান নির্মাণ করছে। বন বিভাগের সদস্যরা তাদের কাজে বাধা দেন। বনের জমিতে তোলা দোকানঘর ভাঙতে গেলে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে আহত হন বিট অফিসারসহ সাত বনকর্মী।
তারা হলেন- বিট অফিসার আব্দুল মান্নান, বন প্রহরী জহিরুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, জামাল হোসেন, আল মামুন হোসেন, আলাউদ্দিন এবং আলী হোসেন।
চন্দ্রা বিট অফিসার আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, “কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।”
এদিকে, গ্রামবাসীর দাবি, বনকর্মীদের মারধরে আহত গ্রামের অন্তত আট বাসিন্দাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- দিলীপ চন্দ্র বিশ্বাস (৪৫), দীপ্তি রানী (২২), কল্পনা রানী (৪৫), রাম চন্দ্র বর্মন (৪৮), তার স্ত্রী ছেলে শোভা রানী (৪৫), বাতাসি রানী (৫৫), মনির হোসেন (৩৫) ও আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৮)। তারা কালামপুর খাজারডেগ এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। সে কারণে তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
মারামারির ঘটনায় কালিয়াকৈর তাদের কাছে ছয়জন চিকিৎসা নিতে এসেছে বলে জানান কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লুৎফর রহমান।