Friday, March 21, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ছাত্রীকে প্রশ্ন সরবরাহের অভিযোগে কুবি শিক্ষক বাধ্যতামূলক ছুটিতে

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ এএম

এক ছাত্রীকে উত্তরপত্রসহ প্রশ্ন সরবরাহের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদউল্লাহ খানকে আহ্বায়ক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. সাইফুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন এবং সহকারী প্রক্টর ড. নাহিদা বেগম।

রেজিস্ট্রার অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পর্যবেক্ষণপূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং সুপারিশসহ রিপোর্ট দাখিলের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আনিছুল ইসলামকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে একটি মেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ আসে। অভিযোগে বলা হয়, ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষক কাজী এম আনিছুল ইসলামের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি তাঁকে একাধিকবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন। মেইলে সেই শিক্ষার্থীর করা অভিযোগের সপক্ষে পর্যাপ্ত নথিপত্রও যুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে তিনি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের বাইরে থাকবেন।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আমার কাছ থেকে কোনো স্টেটমেন্ট চাওয়া হলে আমি তা দেব।”

   

About

Popular Links

x