Friday, March 21, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

এসি মামুনের প্রত্যাহারসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

আয়োজকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এসি মামুন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম

“ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ” ব্যানারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রায় সংঘর্ষের ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। প্ল্যাটফর্মটি অভিযোগ করে যে, এসি মামুন নারী কর্মীসহ বিক্ষোভকারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তারা পুলিশের কর্মকাণ্ডের তদন্ত এবং দায়ীদের শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আয়োজকরা বলেন, “১১ মার্চ ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে নয় দফা দাবিতে পদযাত্রা ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ প্রথমে হামলা করেছে। তারপর ডিএমপির রমনা বিভাগের সিভিল ড্রেসে থাকা এসি আবদুল্লাহ আল মামুন ন্যাক্কারজনকভাবে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় পুলিশ অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে, নারীদের হেনস্তা করেছে, সাংবাদিকরা আহত হয়েছে; যা আওয়ামী আমলের পুলিশি রাষ্ট্রেরই চিহ্ন বহন করে।”

ইডেন শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, “এই হামলায় সুমাইয়া আক্তার, মেঘমল্লার বসু, আহমেদ আরাফ, তাসমিয়া নেবুলা, সাজেদুল ইসলাম, অংঅংসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নবিরোধী একটা মিছিলকে আটকানোর জন্যে ডিএমপি প্রথমে কোনো নারী পুলিশ রাখেনি, পুরুষ পুলিশরা নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা করে। আন্দোলনকারীরা আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে মোকাবিলা করেছে এবং কয়েকজন পুলিশ সদস্যও এতে আহত হন।”

তিনি আরও বলেন, “এই পুলিশি হামলার পর আমরা দেখলাম, ন্যায্য আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে একদল মানুষ সঙ্ঘবদ্ধভাবে উসকানিমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। বিভিন্ন ছবি ও খণ্ডিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে এই হামলাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই মিথ্যা, খণ্ডিত, অপপ্রচারে অনেকেই বিভ্রান্তও হয়েছেন। বিভ্রান্ত না হয়ে সবাকেই ধর্ষণ ও সব ধরনের রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাই।”

সুমাইয়া আক্তার বলেন, “বুধবার বিকেলে আমরা লক্ষ্য করলাম, পুলিশ রমনা মডেল থানায় সেই আন্দোলনকারী এবং আহত এক সাংবাদিকসহ ১২ শিক্ষার্থী এবং ৭০ থেকে ৮০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে দাঙ্গা সৃষ্টির মিথ্যা মামলা করেছে। আরও অবাক হতে হয়, যখন দেখি সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিল না, এমন কয়েকজনের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ক্ষমতার অপব্যহার করে গণহারে এই মামলা করেছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।”

সংবাদ সম্মেলন থেকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেরে জানানো দাবিগুলো হলো– ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সংগঠকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অন্যায্য মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; নারী আন্দোলনকারীসহ একাধিক আন্দোলনকারীদের শারীরিকভাবে নিপীড়ন এবং শান্তিপূর্ণ ও ন্যায্য আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা পুলিশ কর্মকর্তা এসি মামুনের অপসারণ এবং তদন্ত সাপেক্ষে হামলায় জড়িত অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা আনতে হবে; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ধর্ষক-নিপীড়কদের বিচারসহ ৯ দফা মেনে নেওয়া এবং সংঘবদ্ধ ও উসকানিমূলক অপপ্রচার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

   

About

Popular Links

x