রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আলোচিত মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মেঘনা আলমকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এই আদেশ দেন।
এদিন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার হোসেন মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে তাকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
জানা গেছে, চাঁদাবাজি-প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠকে অংশ নেন মেঘনা, সমিরসহ কয়েক ব্যক্তি। বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি ও আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়। এই গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করা। আসামিদের এই কার্যক্রমের কারণে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা পেনাল কোডের ৪২০, ৩৮৫ ও ১০৯ ধারার অপরাধ।
তবে মেঘনা আলম আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে এবং তিনি দেওয়ান সামিরকে চেনেন না।
একই মামলায় দেওয়ান সামিরকে এর আগে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, দেওয়ান সামির কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সঞ্জনা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনাকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে আদালত মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তবে, সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনার আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
মেঘনাকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তার বাবা বদরুল আলম ১৩ এপ্রিল রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
অন্যদিকে, ভাটারা থানায় করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন মেঘনার পরিচিত ব্যবসায়ী সমির। এই মামলায় তাকে ১২ এপ্রিল পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
