সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বিনোদন ও ব্যক্তি জীবনের নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে প্রায় সময়ই আলোচনায় আসেন তিনি। জায়েদ খানের মন্তব্য ঘিরে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও হতে দেখা গেছে। এবার নতুন এক বিতর্কে জড়ালেন তিনি। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি গাছের ছবি পোস্ট করে জায়েদ খান দাবি করেছেন, গাছটি নিউটনের সেই বিখ্যাত আপেল গাছ, যেটি নাকি লন্ডনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজে অবস্থিত।
ফেসবুকে গত শনিবার (১ জুন) ওই পোস্টটি করেন জায়েদ খান। পোস্টটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “পেছনের গাছটি নিউটনের সেই বিখ্যাত আপেল গাছ!”
জায়েদ খানের এই পোস্টের পর নেটিজেনদের প্রশ্ন, এটি আসলেই নিউটনের সেই বিখ্যাত আপেল গাছ কি-না। তার পোস্টের মন্তব্যের ঘরেও কেউ কেউ দ্বিমত জানাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, নিউটনের বিখ্যাত সেই আপেল গাছ এটি নয়। আসল গাছটি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়; গাছটির অবস্থান আইজ্যাক নিউটনের বাড়ির কাছে ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে। কিন্তু সত্যটা আসলে কী?
বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার বলছে, স্যার আইজ্যাক নিউটন যে আপেল গাছের নিচে বসেছিলেন জায়েদ খানের ছবিটি সেই আপেল গাছের সামনে নয়। এটি আসল আপেল গাছ থেকে কলম করে তৈরি একটি গাছ।
রিউমর স্ক্যানার বলছে, ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনের বাগানে দাঁড়িয়ে থাকা আপেল গাছটিকেই ব্যাপকভাবে নিউটনের বসে থাকা সেই আপেল গাছ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ধারণা করা হয়, গাছটি ১৬৫০ সাল নাগাদ রোপণ করা হয়েছিল এবং ১৮১৬ সালের দিকে ঝড়ের ফলে গাছটি আংশিক ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু গাছটি পুনরায় শিকড় দেয় এবং প্রায় ৩৫০ বছরের বেশি পুরোনো এই গাছটি এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
অন্যদিকে, ফেসবুকে জায়েদ খান যে গাছের ছবিটি প্রচার করেছেন, তা যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজের প্রধান ফটকের পাশে অবস্থিত। এই আপেল গাছটি ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়ারের উলসথর্প মানর গ্রামে নিউটনের বাড়ির সামনে অবস্থিত আসল মাতৃগাছটি থেকে কলম করে তৈরি করা হয়েছিল।
রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউটনের অবদানকে স্মরণ রাখার জন্য ১৯৫৪ সালে এই গাছটি সেখানে রোপণ করা হয়েছিল। এই গাছটি থেকে সবুজ আপেল পাওয়া যায়। সরাসরি খাওয়া না গেলেও সেটি রান্না করলে খাওয়ার উপযোগী হয়। আর নিউটন যে মাতৃগাছটির নিচে বসেছিল সেই গাছটির ফল হচ্ছে লাল আপেল, যা সরাসরি খাওয়ার উপযোগী। শুধু ট্রিনিটিতেই নয়, নিউটনের সেই মাতৃগাছটির এমন ক্লোন সারাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে।