শহুরে জীবনে সামর্থ্যবান মানুষের কাছে গাড়ি এখন আর বিলাসিতা নয়। ব্যস্ত শহরে নির্বিঘ্ন যাতায়াতে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়িতে ভরসা রাখেন। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হলো, গাড়ির বিভিন্ন অংশে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু উপাদান যা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
সম্প্রতি এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। সেখানে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে পরবর্তী সময়ে নির্মিত গাড়ির ভেতরে কিছু ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হয়।
এর আগেও বিভিন্ন গবেষণায় গাড়িতে ব্যবহৃত অগ্নি-প্রতিরোধী উপাদানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে স্নায়ুবিক সমস্যা, হরমোনজনিত ত্রুটি এবং ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর কথা উঠে আসে।
গবেষকরা বলেন, গাড়ির কেবিনে ব্যবহৃত সিট ফোম, রাবার, অগ্নি প্রতিরোধক গ্রীষ্মকালে প্রখর সূর্যের তাপে বিক্রিয়া করে। যা থেকে এক ধরনের ক্ষতিকর ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। এই ধোঁয়া খালি চোখে দেখা যায় না।
গবেষণার লেখক বিজ্ঞানী লিডিয়া জাহলের পরামর্শ, এই বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে বাঁচতে গাড়ির জানালা খোলা রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি দিনের বেলায় ছায়াযুক্ত স্থানে কিংবা গ্যারেজে গাড়ি পার্ক করে রাখা যেতে পারে।
তবে সবার আগে প্রয়োজন গাড়িতে এ ধরনের পদার্থের ব্যবহার কমিয়ে আনা।
গ্রিন সায়েন্স পলিসি ইন্সটিটিউটের এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, “এই ক্ষতি রোধে প্রথমেই প্রয়োজন গাড়িতে অগ্নি-প্রতিরোধী বস্তুর ব্যবহার কমিয়ে আনা। কাজে যাতায়াতের পথে ক্যান্সারের ঝুঁকি কাম্য নয়। স্কুলগামী শিশুদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর এমন জিনিসের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।”
অধিকাংশ মালিকই কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত বা পেশাগত কাজের জন্য গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। গাড়িতে করে শিশুদের স্কুলে যাতায়াত, ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া হয়। তাই এ ধরনের বস্তুর ব্যবহার শুধুমাত্র যাত্রীদের নয়, চালকদের ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ে।