খনিজ তেল উৎপাদনের দিক দিয়ে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব। কিন্তু দেশটির তেলের রিজার্ভ কতো তা জানাতে সব সময়ই গড়িমসি করেছে সৌদি সরকার। তবে এবার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নিরীক্ষকদের কাছে তেলের রিজার্ভের তথ্য দিলো দেশটি।
গতকাল বুধবার মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিগলইয়ার অ্যান্ড ম্যাকনটন পর্যবেক্ষণ শেষে জানায় সৌদি আরবের তেলের রিজার্ভ ২৬৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ব্যারেল। গত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম বিদেশি কোনো সংস্থাকে সৌদির গ্যাস ও তেল সম্পদের হিসাব করার অনুমতি দেওয়া হলো।
সংবাদমাধ্যম সিএনন-এর খবরে বলা হয়, এর আগে সৌদি আরব দেশটির তেলের রিজার্ভ ২৬৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন বলে জানায়। তবে ওই তথ্যে স্বচ্ছতার অভাবে দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর ব্যবসায়িক মূল্য ও সাম্ভাব্য বিক্রি নিয়ে বেশ সন্দেহের দানা বাঁধে। এ কারণে আরামকোর পাবলিক শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও তা স্থগিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শেয়ার বিক্রির জন্য স্বচ্ছতা বাড়াতেই এবার বিদেশি নিরীক্ষকদের দিয়ে তেল রিজার্ভের পরিমাণটি প্রকাশ করা হতে পারে।
এ দিকে তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বের হতে চাচ্ছে সৌদি। এ কারণে ভিশন-২০৩০ নামের একটি লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করেছে দেশটি। এই সময়ের মধ্যে শুধু তেলের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বের হয়ে আসবে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর শেয়ারের ৫ শতাংশ বিক্রি করলে মিলবে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই অর্থ ভিশন-২০৩০ অর্জনে খরচ করা যেতে পারে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ১১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে সৌদি আরব, যা দেশটির জন্য একটি রেকর্ড মাত্রা। তবে ডিসেম্বরে তেল উত্তোলনকারীদের সংস্থা ওপেক ও রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করে দেশটি। সেখানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।