বিশ্বে মসলার বাজার বাড়ছে। বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার প্রচলন এবং বর্তমানে নিরামিষভোজী (ভেজিটেরিয়ান) খাবারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মসলার চাহিদা বেড়েছে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে জার্মান ব্যবসায়ী আক্সেল হাইনরিশসন বলেন, “বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার চল বাড়ায় আমরা অনেক মসলা বিক্রি হতে দেখছি। এছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে। যেমন এখন নিরামিষ খাবারের প্রচলন বেড়েছে। এসব খাবার তৈরিতে বেশি পরিমাণে, বিভিন্ন ধরনের মসলা লাগে। এছাড়া মানুষ এখন অনেক ভ্রমণ করছে, বিশ্ব বাণিজ্য বাড়ছে, অন্য দেশের মানুষের মধ্যে মেলামেশা বাড়ছে। সে কারণে আমাদের খাওয়ায় বৈচিত্র্য এসেছে।”
হামবুর্গের পুরনো ওয়্যারহাউজগুলোর একটিতে আক্সেলের দোকান। সিঙ্গাপুর আর নিউইয়র্কের পর জার্মানির এই বন্দরনগরী মসলার ক্ষেত্রে বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র।
উগান্ডার তরুণ চাষি আগাবা কেনেথ জানান, মসলার বিক্রি বাড়ায় তারাও লাভবান হচ্ছেন।
তিনি বলেন, “আমি খুশি। তবে ফলন আরও বাড়াতে হবে। আমি জানি, যদি আমি ফলন বাড়াই তাহলে লাভ আরও বাড়বে, কারণ এগুলো চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি বেশি সরবরাহ করতে না পারেন, তাহলে বেশি লাভও পাবেন না।”
হামবুর্গের আরেকটি নতুন শিল্পখাত বিভিন্ন মসলা একসঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা। উন্নয়নশীল দেশের কৃষকরা এসব ফলিয়ে থাকেন। এজন্য তারা ভালো অর্থও পান।
“১০০১ মসলা” কোম্পানির মালিক ক্যাটরিনা ভিলকে বলেন, “আমি এমন ব্যবসায়ী খুঁজি যাদের সঙ্গে কৃষকদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। অর্ডার দেওয়ার আগে তাদের নীতি কী, সেটা বিবেচনা করি। সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবার মধ্যে লাভের অংশ যথাযথ বণ্টন করা, কৃষকদের ভালো টাকা দেওয়া, ফসল কীভাবে জন্মানো হচ্ছে সে সম্পর্কে জানা, তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি বিবেচনা করি।”
তার কোম্পানি মসলা কেনার আগে চেখে দেখারও সুযোগ দেয়। ক্রেতাদের বেশিরভাগই তরুণ, যারা একটি মসলার মিশ্রণের জন্য ১৮ ইউরো দিতেও রাজি। তরুণরা সবসময় নতুন কিছু খোঁজেন।