আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৩টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। সিবিআই অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানালেও আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের।
সাজা ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “আমরা ফাঁসির দাবি করেছিলাম। কী করে জানি না, আমাদের হাতে কেসটা থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতাম। এটা এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলা। ফাঁসি হলে অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।”
এর আগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অভিযুক্ত বলেন, ‘‘আমি খুন বা ধর্ষণ কোনটাই করিনি। বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি ধর্ষণ-খুন করে থাকতাম, তাহলে কি রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হত না? আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে যখন সিবিআই-এর কাছে যাই। আমি কিছু করিনি।’’
উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘কী হয়েছে, সেটা আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না। সিবিআই যা প্রমাণ দিয়েছে, তাতে আমি নিশ্চিত, আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক।’’
এসময় নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে বলে জানায় বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইমারজেন্সি ভবনের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ। জানা যায়, নৃশংস ভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয় সেই তরুণী চিকিৎসককে। গত ১৮ জানুয়ারি সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে শিয়ালদহ আদালত। দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে। সোমবার সেই মামলায় সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করে শিয়ায়লদা আদালত। এর আগে গত ৪ নভেম্বর এই মামলায় আদালতে চার্জ গঠন করেছিল সিবিআই। ১১ নভেম্বর মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আর গত ৯ জানুয়ারি তা শেষ হয়েছিল।