Tuesday, May 13, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

প্রেসিডেন্টকে মাদকাসক্ত বললেন কলম্বিয়ার সাবেক মন্ত্রী

প্রেসিডেন্টের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অভিযোগ তুলেছেন

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০ পিএম

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রোকে মাদকাসক্ত বলে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলভারো লেইভা। প্রেসিডেন্ট পেত্রো এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এএফপি জানায়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলভারো লেইভা এক খোলা চিঠিতে বলেন, “২০২৩ সালে প্যারিস সফরের সময় পেত্রো দুই দিন নিখোঁজ ছিলেন।”

৮২ বছর বয়সী লেইভা লিখেছেন, “প্যারিসেই আমি নিশ্চিত হই যে আপনি মাদকাসক্ত। এই সময়গুলো আমার জন্য, একজন ব্যক্তি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে, অত্যন্ত বিব্রতকর ছিল।” তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এর প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট পেত্রো “এক্স”-এ (পূর্বে টুইটার) বলেন, “আমি নিছকই অপবাদের শিকার হয়েছি। ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় একজন রাষ্ট্রপ্রধান সবসময়ই ফরাসি সিক্রেট সার্ভিসের সরাসরি ও স্থায়ী নিরাপত্তায় থাকেন।”

পেত্রো জানান, ওই দুই দিন তিনি প্যারিসে তার মেয়ে ও নাতনিদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি প্রেমে আসক্ত।”

এই ঘটনায় বিরোধী আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্টের ড্রাগ ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা দাবি করেছেন, যেন বোঝা যায় তিনি “শাসনের উপযুক্ত” কি-না।

রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল হলেও, লেইভা বামপন্থী প্রেসিডেন্ট পেত্রোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন এক সময়। তিনি কলম্বিয়ার বিভিন্ন সরকারের অধীনে শান্তি আলোচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দুইবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচিত হননি।

২০২৪ সালের শুরুতে পাসপোর্ট ছাপার টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগে কলম্বিয়ার মহাপরিদর্শক লেইভাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পেত্রো এ সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই লেইভা সময় সুযোগে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন যে প্রেসিডেন্ট পেত্রোর মাদক সমস্যা থাকতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট পেত্রো বুধবার ফের সে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আমি কি সারাক্ষণ আমার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বসে থাকি? প্যারিসে পার্ক, জাদুঘর, বইয়ের দোকান- চিঠির লেখকের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় জিনিস আছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো কি তার চেয়ে মূল্যবান নয়?”

   

About

Popular Links

x