মোটরসাইকেল কিংবা স্কুটার থাকলে হেলমেট শখ নয় বরং প্রয়োজন। আবার রাইড শেয়ারিং সেবা ব্যবহারকারীদের অনেকেই নিজের হেলমেট ব্যবহার করে থাকেন। বাইক রাইডিংয়ে হেলমেট না পরলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যেমন থাকে, সঙ্গে থাকে মামলা বা জরিমানার ভয়।
মাথায় ধুলোবালি এবং ঘামের কারণে হেলমেটে অনেক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। এক হেলমেট অনেকে পরলে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। আরও বড় কথা হলো, হেলমেট টানা দীর্ঘক্ষণ পরে থাকতে হতে পারে। তাই নিত্য ব্যবহার্য এই বস্তুটি পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় উঠে যেতে পারে মাথার চুল। দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রোগও। তাই হেলমেট পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
হেলমেট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে চুল হারানোর ভয় থাকবে না আর।
হেলমেট পরিষ্কার না থাকলে যা করবেন?
দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে হেলমেটে মাথার ঘাম লেগে যায়। এরপর সেই হেলমেট খুলে রাখলে মাথা আর হেলমেট দুই-ই শুকিয়ে যাবে। কিন্তু হেলমেটে জন্মাবে প্রচুর ব্যাক্টেরিয়া। এভাবে প্রতিদিন হেলমেট পরলে তাতে আরও বেশি করে ব্যাক্টেরিয়া সৃষ্টি হবে। শেষমেশ আপনার চুলের ক্ষতি হবে।
প্রথমে হেলমেটের ভাইসর পরিষ্কার করুন
হেলমেটের ভাইসর আপনার চোখ-মুখকে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সেখানে খুব বেশি স্ক্র্যাচ থাকে, তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর হেলমেটের ভাইসর পরিষ্কার করা জরুরি। যেকোনো হেলমেট বা বাইকের দোকানে গেলেই আপনি হেলমেটের ভাইসরটি পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া সেই ভাইসর পরিষ্কার রাখতে পারেন হালকা গরম পানি এবং সাবানের সাহায্যে।
হেলমেটের ভেতরের প্যাডটি ডিপ ক্লিন করুন
অনেক সময় চুলে ব্যবহৃত রাসায়নিক (শ্যাম্পু, জেল, টনিক) ইত্যাদি ঘাম ও চুলের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। এটি হেলমেটকে চরম অস্বাস্থ্যকরও করে তোলে। তাই, হেলমেটের ভেতরের প্যাডটি খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। অনেক হেলমেটের ভেতরে অপসারণযোগ্য প্যাড থাকে, কিছু হেলমেটে আবার প্যাড থাকলেও তা অপসারণযোগ্য নয়।
ভেতরের প্যাড অপসারণযোগ্য হলে তা পরিষ্কারের কাজটি খুব সহজ। সেক্ষেত্রে হেলমেট থেকে প্যাড এবং তার আস্তরণটি বের করে নিন। তারপর ৩০ মিনিটের জন্য বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণে ভিজিয়ে রাখুন। এবার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকাতে দিন।
হেলমেটের ভেতরের প্যাড সরানো না গেলে বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণে হেলমেটটিকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য চুবিয়ে রাখুন। এরপর আঙুল দিয়ে আলতো করে ময়লাগুলো বের করে নিন। এবার পরিষ্কার পানিতে দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকাতে দিন।
সবশেষে বাফিং-পলিশিং
পুরোনো হেলমেটকে নতুন রূপ দিতে চাইলে বাফিং-পলিশিংয়ের বিকল্প নেই। প্রথমে হেলমেটের বাইরের অংশটা বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে নিন এবং একটি নরম স্পঞ্জ বা তুলা দিয়ে ধুলা এবং দাগ মুছে নিন। এভাবে পরিষ্কারের পর হেলমেটটি শুকিয়ে গেলে সেটিকে নতুনের মতো উজ্জ্বল করতে কার ওয়্যাক্স বা গাড়ির মোম দিয়ে পলিশ করুন।
কত দিন পর হেলমেট পরিষ্কার করা প্রয়োজন?
হেলমেট আমরা প্রতিনিয়তই ব্যবহার করি। তাই পরিষ্কারও করা দরকার প্রায়ই। মাসে অন্তত এক থেকে দু’বার হেলমেট পরিষ্কার আবশ্যক। পাশাপাশি দুর্গন্ধ দূর করতে হেলমেটে সুগন্ধি স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।