নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়ে দলের প্রতীক হিসেবে “শাপলা” চেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেই সঙ্গে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশনের পুনর্গঠনও দাবি করেছে দলটি।
রবিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিবন্ধন আবেদনের শেষ দিনে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ দলের আবেদন জমা দেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
এ সময় দলের মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিনসহ একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
আবেদনপত্র জমা দিয়ে বিকেলে নির্বাচন ভবনের সামনে ব্রিফিংয়ে এসে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “আমরা ইসি কর্মকর্তাদের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। নিবন্ধন শর্তপূরণ করে এমন সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা এনসিপির দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছি।”
নিয়ম অনুযায়অ আবেদনে মোট তিনটি প্রতীকের উল্লেখ করেছে দলটি। তবে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীককে এনসিপির প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেবে বলে প্রত্যাশা রাখেন আখতার।
দলের মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোওয়ারী জানান, শাপলা ছাড়াও কলম ও মোবাইল প্রতীক হিসেবে চেয়েছে এনসিপি। এর মধ্যে শাপলাই বরাদ্দ পাবেন বলে প্রত্যয় রাখেন তিনি। এনসিপি নিবন্ধন পাবে এবং শাপলা প্রতীকে জয় জয়কর হবে আগামী নির্বাচনে বলেন তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে এনসিপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “আমরা এখনও দাবি করছি বর্তমান ইসির পুনর্গঠন করতে হবে। এ ইসি পুনর্গঠন হতে হবে এবং পুনর্গঠন হবেই। আমরা বি অপশনে যাচ্ছি না। আর কোনো বিকল্প নেই।”
এদিকে, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বিকেলে তার ফেসবুকে একটি শাপলা প্রতীকের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “জনগণের মার্কা, শাপলা মার্কা।”