ওয়েম্বলিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মাঠে নামার অপেক্ষায় রিয়াল মাদ্রিদ। আপাতত তাদের সবটুকু ধ্যানজ্ঞান ১৫তম শিরোপার দিকে। এরই মধ্যে স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা ফাটিয়েছে এক বোমা। তারা বলছে, মাদ্রিদ আক্রমণভাগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রদ্রিগো গোয়েসকে কিনতে চায় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
এ মৌসুমে মাদ্রিদের আক্রমণভাগে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সঙ্গে নিয়মিত খেলেছেন তিনি। ৫০ ম্যাচে করেছেন ১৭ গোল।
মার্কার প্রতিবেদন বলছে, রদ্রিগো এই মুহূর্তে ক্লাব ছাড়তে চাইছেন না। মাদ্রিদেরও তাকে বিক্রির পরিকল্পনা নেই। তবে বার্নাব্যুর ক্লাবটি শেষ পর্যন্ত ড্রেসিংরুমের ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। এই ভারসাম্যই তাদের এ মৌসুমে লিগ জিততে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
অন্যদিকে, ম্যানসিটিও ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন। আর্লিং হাল্যান্ড আর হুলিয়ান আলভারেজদের আরও একজন যোগ্য সঙ্গীকে দলে ভিড়িয়ে তারাও চায় আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করতে। এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে মাদ্রিদের রক্ষণব্যুহ ভেদ করে জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
সাক্ষাৎকার নিয়ে জলঘোলা
এ সপ্তাহেই রদ্রিগোকে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি বলেন, “আমার এখানে (রিয়াল মাদ্রিদ) চুক্তি রয়েছে। এখানে আমি ভালো আছি। কিন্তু যখন দেখব ক্লাবে আমি আর ক্লাবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নই, তখন অবশ্যই পরবর্তী গন্তব্য খুঁজে নেব।”
রদ্রিগোর এ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয় নানান জল্পনা। অনেকেই ধরে নেন, এম্বাপ্পে আর এন্ড্রিক দলে এলে ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারকে হয়ত ছেড়ে দেবে মাদ্রিদ।
তবে সব জল্পনার উত্তর দিয়েছেন রদ্রিগো নিজেই। বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, “একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার ঘটে গেছে। আমার সাক্ষাৎকারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সরাসরি বলতে চাই, আমি রিয়াল মাদ্রিদে খুবই ভালো আছি। আমি প্রিয় ক্লাব ছাড়ার কথা ভাবছি না! আমরা একত্রে ইতিহাস রচনার পথে হাঁটছি।”
তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। রদ্রিগোর মতো খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবেই বেঞ্চে বসে থাকতে চাইবেন না। আবার কিলিয়ান এম্বাপ্পের মাদ্রিদে যোগদান এই মুহূর্তে সময়ের ব্যাপার বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। আবার রদ্রিগোর আরেক স্বদেশি স্ট্রাইকার এন্ড্রিক ফিলিপেও যোগ দিচ্ছেন স্প্যানিশ ক্লাবটিতে। এক মৌসুমের জন্য ধারে আসা স্ট্রাইকার হোসেলু মাতেকেও রেখে দিতে পারে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। সেক্ষেত্রে পুরো মৌসুমে কতগুলো ম্যাচে নিয়মিত একাদশে রদ্রিগোর জায়গা হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায়।