লাল সবুজের জার্সিতে খেলতে দেশে এসেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এখন অবস্থান করছেন তার গ্রামের বাড়িতে। রাতে ঢাকায় এসে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। যতক্ষণ বাড়িতে ছিলেন ততোক্ষণ গ্রামবাসীর ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন হামজা। সুপারস্টারকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত গ্রামের সহজ-সরল মানুষ।
লেসটার সিটি তারকা ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলতে সোমবার বেলা ১২টায় সিলেটে আসেন লন্ডন থেকে। এরপর ছাদখোলা মাইক্রোবাসে করে তাকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে। সেখানে পথে পথে তাকে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বাগত জানায়।
বিকেলে বাড়িতে আসার পর থেকেই সাধারণ লোকজন তাকে আপন করে নিয়েছেন। সকলের সঙ্গেই কুশল বিনিময় ও ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন তারকা এই ফুটবলার।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, “হামজা আমাদের গ্রামের সন্তান। তাকে পাঁচ তারকা হোটেলে রাখতে চেয়েছিল বাফুফে। কিন্তু হামজার ইচ্ছার কারণে সে গ্রামে অবস্থান করছেন। আশাকরি আমাদের গ্রামের সন্তান দেশের ফুটবলকে গর্বিত করবে।”
হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক সেলিম বলেন, “হামজা আমাদের সন্তান। সে এখন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে, নিঃসন্দেহে বিষয়টি সম্মানের। আশা করি হামজার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ফুটবল অনেকদূর এগিয়ে যাবে।”
হামজার বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, “হামজা দেশের জন্য খেলতে এসেছে। হামজার আশা তার সন্তানরাও বাংলাদেশের হয়ে ভবিষ্যতে খেলবে। ছোট বেলা থেকেই দেশের প্রতি মায়া ছিল হামজার। আগামী ২৫ মার্চ দেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচে দেশকে সে জয় উপহার দিবে বলে আমি আশাবাদী।”
হামজার আগমন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছিল পুরো গ্রাম। দীর্ঘ প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সাজানো হয়েছে রঙ্গিন গেট ও তোরণ।
ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে খেলতে ২০ মার্চ দেশ ছাড়বেন হামজা চৌধুরী। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে দেওয়ান হামজা চৌধুরীর।