কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ৭ বদলি নামিয়ে আলোচনায় রয়েছে ব্রাজিল। ফুটবলের আইন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) ৫ বদলির অনুমোদন দেওয়ার পর ২০২১ সালে তা স্থায়ীভাবে কার্যকর করে ফিফা। তবে আজ ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র ফিফার নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত দুই বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে কি দরিভাল জুনিয়র ফিফার নিয়ম ভেঙেছে? উত্তর হচ্ছে ‘'না’'। দরিভাল নিয়মের মধ্যে থেকেই বেঞ্চে থাকা ৭ জনকে খেলিয়েছেন।
গারিঞ্চা অ্যারেনায় আজ ম্যাচের প্রথমার্ধ ১–১ সমতায় শেষ হয়। যোগ করা সময়ের শেষ দিকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত গোলে জয়ের মুখ দেখে ব্রাজিল। জয়সূচক গোল করার পরপরই মাঠ ছাড়েন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিয়াস। তার পরিবর্তে ক্ষণিকের জন্য নেমে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষেক হয় ফ্লামেঙ্গোর সেন্টার–ব্যাক লিও ওরতিজের। ম্যাচে ওরতিজই ছিলেন শেষ এবং ব্রাজিলের সপ্তম বদলি।
এর আগে বদলি নেমেছেন জোয়েলিন্তন, মাথেউস কুনিয়া, সাভিনিও, আন্দ্রে, ওয়েসলি ফ্রাঙ্কা ও বেন্তো। তাদের জায়গা দিতে গেরসন, জোয়াও পেদ্রো, রদ্রিগো, ব্রুনো গিমারায়েস, ভান্দেরসন ও আলিসন বেকারকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়েছে।
মূলত গোলকিপার আলিসনের কারণেই ৭ বদলি খেলাতে পেরেছে ব্রাজিল। ৬৯ মিনিটে একটি ফ্রি–কিক শট পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দাভিদসন সানচেজের মাথার সঙ্গে গোলকিপার আলিসনের মাথা সজোরে ধাক্কা লাগে। দুজন সঙ্গে সঙ্গে মাঠে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। দুজনকেই মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা আর মাঠে নামতে পারেননি।
ফিফার কনকাশন প্রটোকল অনুযায়ী, কোনো দলের একজন খেলোয়াড় মাথায় আঘাতজনিত চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও একজনকে খেলানো যাবে। এ কারণেই মাথায় আঘাত পাওয়া গোলকিপার আলিসনের পরিবর্তে নামেন বেন্তো এবং শেষ দিকে ভিনির পরিবর্তে নামেন ওরতিজ। এই নিয়ম অনুযায়ী শুধু ব্রাজিলই নয়, কলম্বিয়ারও সাত বদলি নামানোর সুযোগ ছিল। কারণ তাদের ডিফেন্ডার সানচেজও মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। খেলার ভারসাম্য বজায় রাখতেই এ ধরনের আঘাতজনিত ঘটনায় অতিরিক্ত একজনকে খেলানোর অনুমতি দিয়ে থাকে ফিফা।