Tuesday, May 13, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচজুড়ে যা হলো

নাটকীয়তার চরমে উঠে আরও একটি ফিরে আসার গল্প লিখল কাতালান জায়ান্টরা

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০২ এএম

পিএসজির বিপক্ষে বার্সেলোনার সেই ঐতিহাসিক “রেমন্তাদা”র কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ওই রকম না হলেও উত্তেজনার অন্যরূপ দেখিয়ে, নাটকীয়তার চরমে উঠে আরও একটি ফিরে আসার গল্প লিখল কাতালান জায়ান্টরা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আবহে গত সপ্তাহজুড়ে রিয়াল মাদ্রিদ জগতে “ফিরে আসার গল্প” লেখার প্রত্যয়ে দলটির খেলোয়াড় থেকে সমর্থক- সবাই মুখে “রেমন্তাদা”র ফেনা তুলে ফেললেও শেষ পর্যন্ত আর্সেনালের কাছে আবারও হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দলটিকে। ওই ঘটনার তিন দিন পরই কাকতালীয়ভাবে লা লিগায় রেমন্তাদা, অর্থাৎ ফিরে আসার নাটক রচনা করল রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা।

ফুটবলের অপকৌশল খ্যাত রক্ষণাত্মক ফুটবল যে সেল্তা ভিগো খেলতে জানে না, তা অনেক আগে থেকেই সবার জানা। দলটির অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড ইয়াগো আসপাসের ক্ষিপ্রতার কথা কে না জানে! তার ওপর আবার চলতি মৌসুমে আক্রমণে ধার বাড়িয়েছে দলটি। বোরহা ইগলেসিয়াসকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। ফলে এই আক্রমণ-শক্তির সামনে বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্স ঠিক কতটা কার্যকর হয়, ছিল তা-ই দেখার অপেক্ষা।

তবে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচারে একটুও কমতি রাখেনি সেল্তা। আসপাসকে শুরুর একাদশে না রাখা হলেও নামের প্রতি সুবিচার করেছেন ইগলেসিয়াস।

ফ্লিকের অফসাইড ফাঁদ ভাঙতে দলটি যে বিশেষ অনুশীলন করে মাঠে নেমেছে, তা খেলা শুরুর পর তাদের একের পর এক নির্ভুল লং পাস ও সুনিপুণভাবে অফসাইড এড়িয়ে আক্রমণে ওঠা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। আর এই খেলার কাছেই এদিন দিশেহারা হয়ে যায় তারুণ্যনির্ভর বার্সেলোনা। সেল্তাকে কীভাবে থামাবে তা কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কুবারসি, কুন্দে, ইনিগো মার্তিনেসরা।

জোড়া গোল করে নাটকীয় এই ম্যাচে দলকে জয়ের পথ চেনান রাফিনিয়া/এফসি বার্সেলোনা

ফলে দ্বাদশ মিনিটে পেদ্রির থ্রু বল ধরে অসাধারণ নৈপুণ্যে ফেররান তোরেস দলকে এগিয়ে নিলেও মিনিট চারেক পরেই সেল্তাকে সমতায় ফেরান বোরহা। এখানেও সেই ডিফেন্সভাঙা কৌশলে সাফল্যস্বরূপ গোলের দেখা পান তিনি।

এ সময় বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স চিরে সতীর্থের দুর্দান্ত পাস পেয়ে এগিয়ে যান ইকের লোসোদা। এরপর বিপরীত পাশে ইগলেসিয়াসের উদ্দেশে পাস বাড়ান তিনি। এ সময় ভয়চিয়েখ স্টান্সনি এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পাসটি নিষ্ক্রিয় করতে চেয়েও ব্যর্থ হন। আর প্রথম ছোঁয়াতেই উন্মুক্ত গোলে বল পাঠান ৩২ বছর বয়সেও ছুটে চলা এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।

সমতায় ফিরে আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দিতে থাকে সেল্তা। অপরদিকে এগিয়ে গিয়েও চকিতে গোল হজম করে খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেও ভোলেনি দলটি। ২৩তম মিনিটে একইরকমভাবে আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে এবার বার্সার ডিফেন্ডাররা সতর্ক ছিলেন, সঙ্গে স্টান্সনিরও ভুল না হওয়ায় বেঁচে যায় কাতালানরা।

কিছুক্ষণের মধ্যে খানিকটা ধাতস্থ হয়ে ফের গেম সাজাতে থাকেন পেদ্রি-রাফিনিয়ারা। এর ধারাবাহিকতায় ২৭তম প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন সেল্তা গোলরক্ষক ভিসেন্তে গাইতা। ৩১তম মিনিটে বার্সার আরও একটি আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন এই তিনি।

৩৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের সামান্য বাইরে ফ্রি কিক আদায় করেন পেদ্রি। তবে ফ্রি কিকটি ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন রাফিনিয়া। ৪১তম মিনিটে ফের বার্সার ডিফেন্স ভাঙে সেল্তা। আবারও শট হানেন বোরহা, তবে এবারও সতর্ক ছিলেন স্টান্সনি। পরমুহূর্তে ফিরতি বলেই পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একপ্রকার একা পেয়ে গিয়েছিলেন লেভা। কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। পরের মিনিটে লেভা-রাফিনিয়ার আরও একটি আক্রমণ শেষ মুহূর্তে বোঝাপড়ার অভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

৪৩তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে সেল্তা। ডিফেন্স চিরে ডান পাশ ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নেন ইলাইশ মরিবা। স্টান্সনি তা ফিরিয়ে দিলে চলে আসে সামনে থাকা বিপজ্জনক বোরহার পায়ে। বুলেট শটও নেন তিনি, তবে এবারও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন স্টান্সনি।

আরও একটি ফিরে আসার গল্প লেখার ম্যাচ জয়ের নায়ক রাফিনিয়া/এপি

শেষের দিকে সফরকারীদের চেপে ধরে বার্সেলোনা, তবে কার্যকর ফিনিংয়ের অভাবে আর এগিয়ে যাওয়ার মতো সুযোগ হয়ে ওঠে না। ফলে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ হলেও বার্সেলোনার রক্ষণের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বলের দখলে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে থাকলেও (৬৫%) বারবার ভুল পাস দিয়ে বিপদ ডেকে আনা এবং প্রতিপক্ষের লং পাস আক্রমণের উত্তর না পাওয়ায় যথেষ্ট ভুগতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।

এখানে আরেকটি কথাও উল্লেখ করতে হয় এই ম্যাচের পর ১৫ দিনের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ ও ইন্টার মিলানের বিপক্ষে টানা চার ম্যাচ খেলার কথা বিবেচনায় রেখে লামিন ইয়ামাল ও চোট থেকে ফেরা দানি অলমোকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন ফ্লিক। লামিনের পরিবর্তে আক্রমণভাগের ডান পাশে রাফিনিয়া খেলেন স্থান পরিবর্তন করে। আর তার জায়গায় খেলেন ফেররান তোরেস।

একাদশের এই ওলট-পালটের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিল বার্সেলোনা। দলটির খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আর ডান পাশে নিজেকে খুঁজে ফেরা রাফিনিয়ার পারফরম্যান্স সাধারণ দর্শকেরও চোখ এড়ায়নি। এছাড়া ফলস ১০ পজিশনে খেলা ফেরমিন লোপেসও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের শক্তিমত্তায় কেমন যেন ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। ফলে দারুণসব ড্রিবল করে এগিয়ে এমনসব বাজে বাজে পাস দিচ্ছিলেন, যা পেশাদার ফুটবলে বেমানান।

বিরতির পর মাঠে নেমেও বার্সার ওপর চাপ অব্যাহত রাখে সেল্তা ভিগো। এর ধারাবাহিকতায় ৫০তম মিনিটে তাদের একটি জোরালো শট ঠেকান স্টান্সনি। দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের চ্যালেঞ্জ সামলে সোজা গোলরক্ষকের কাছে বল পাঠান ফেরমিন। তবে তার পরমুহূর্তেই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এবারও রক্ষণের যা তা পারফরম্যান্সের সুযোগ লুফে নেয় সেল্তা।

৫২তম মিনিটে ফেরমিনের ওই শট ঠেকিয়েই দ্রুত ডিফেন্ডারের পায়ে বল ছাড়েন গাইতা। তা ধরে উড়ন্ত লং পাসে সতীর্থদের পাল্টা আক্রমণে ওঠার সুযোগ করে দেন হাভি রদ্রিগেস। এরপর বার্সার ডিফেন্ডারদের মাইলখানেক পেছনে ফেলে একা স্টান্সনিকে বোকা বানান ইগলেসিয়াস।

শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সেলোনা যে আক্রমণের পসরা সাজাবে, তা আঁচ করেই শিষ্যদের উদ্দেশে কী যেন নির্দেশ দিতে দেখা যায় কোচ ক্লাউদিও গিরালদেসকে। কিছুক্ষণ পরই মাঠের খেলায় তা পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

সেল্তার ওপর বার্সেলোনা চাপ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণাত্মক ঢংয়ে খেলতে থাকে সফরকারীরা। দুই, মাঝে মাঝে তিন স্তরের লো-ব্লক ডিফেন্স করতে থাকে তারা। আর উপরে হাঁটতে হাঁটতে লং পাস আসার অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে থাকেন ইগলেসিয়াস।

তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। ৫৯তম মিনিটেই আরও একবার বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্স ফেলেন তিনি, তবে এবার অবশ্য অফসাইড ফাঁদে আটকে যান। তার তিন মিনিট পর আর হ্যাটট্রিক করা থেকে তাকে আটকাতে পারেননি কুবারসি, ইনিগোরা।

জয়োল্লাসে মেতেছেন লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া/এক্স

৬২তম মিনিটে বার্সার হাড় জিরজিরে রক্ষণ ভেঙে চুরমার করে তৃতীয় গোলটি করেন ইগলেসিয়াস। এর সঙ্গে সঙ্গে দলকেও এনে দেন ৩-১ গোলের লিড। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসির পর টানা দুই ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা।

বারবার ভুল পাস আর দুর্বল রক্ষণ নিয়ে ভুগতে থাকা শিষ্যদের ওপর সে সময় রাগে ফেটে পড়তে দেখা যায় হান্সি ফ্লিককে। দলের পারফরম্যান্স দেখে অবশ্য মিনিট তিনেক আগেই ফেরমিনকে উঠিয়ে অলমো এবং ফেররানকে উঠিয়ে লামিনকে মাঠে নামান তিনি। তবে তারা নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগেই তিন গোল হজম করে বসে বার্সেলোনা।

দল যখন হুট করে বিপাকে পড়ে গেছে, তখন গুছিয়ে নিতে মোটেও সময় নেননি লামিন-অলমোরা। সেইসঙ্গে নিজের চেনা পজিশনে ফিরে ছন্দ খুঁঝে পান রাফিনিয়াও। এর ফলাফল দুই মিনিট পরই পেয়ে যায় ঘরের মাঠের সমর্থকরা।

৬৪তম মিনিটে অলমো এবং ৬৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোল। সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। গোলদুটিতে অবদান ওই তিনজনেরই। অলমোকে রাফিনিয়া এবং রাফিনিয়াকে লামিন। ব্যাস, খেলায় ফেরে কাতালানরা। উজ্জীবীত হয়ে ওঠে মনজুইক।

তারপর সেল্তাকে আর খেলায় ফিরতেই দেয়নি বার্সেলোনা। একটানা আধিপত্য ধরে রেখে চতুর্থ গোলের সন্ধ্যানে হন্যে হয়ে ওঠে তারা। ৭৩তম মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিলেন অলমো, কিন্তু গোলমুখ থেকে তড়িঘড়ি করে পায়ের পাতা দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠাতে গিয়ে বাইরে বের করে দেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

৭৮তম মিনিটে পায়ে অস্বস্তি অনুভব করেন লেভানডোভস্কি। সামনে কোপা দেল রের ক্লাসিকো ফাইনাল হওয়ায় ঝুঁকি নেননি ফ্লিক। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উঠিয়ে গাভিকে নামিয়ে দেন। সঙ্গে কুবারসিকে উঠিয়ে এরিক গার্সিয়াকে নামিয়ে রক্ষণের পাশাপাশি মাঝমাঠে আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন এই জার্মান কোচ।

তবে লেভা মাঠ ছাড়ায় গোলমুখে শক্তি ও ধার হারায় বার্সেলোনা। বারবার বল নিয়ে এগিয়ে গেলেও প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ডিফেন্ডারদের সামনে খেই হারাতে থাকে দলটি। ফলে পয়েন্ট খুইয়ে ফের শিরোপার দৌড় উন্মুক্ত করে না দেয়—এই ভয় দানা বাঁতে থাকে সমর্থকদের মনে।

এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে তো বার্সা সমর্থকদের প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। গোলপোস্টের খুবই কাছ থেকে স্টান্সনিকে বোকা বানান সেল্তার ফের লোপেস, কিন্তু তার ওঠানো ছোট ক্রসে মাথা দিয়েও বল ফাঁকা গোলে পাঠাতে ব্যর্থ হন অস্কার মিঙ্গেসা। ফলে শেষ মুহূর্তে হারের শঙ্কা এড়ায় বার্সেলোনা।

ঘটনাবহুল দ্বিতীয়ার্ধ শেষে অতিরিক্ত হিসেবে যুক্ত হয় আট মিনিট। প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর বুলডুজার চালাতে থাকে বার্সেলোনা। এরপর চতুর্থ মিনিটে নেকড়ের পালের মতো বার্সার অপ্রতিরোধ্য সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে অলমোকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দিয়ে বসেন সেল্তার এক ডিফেন্ডার।

রিভিউতে দেখা যায় বক্সের ভেতর বল রিসিভ করে ঘুরেই গোলে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে অলমোর গোলাড়িতে আঘাত করেন ইয়োয়েল লাগো। এরপর শেষ মিনিটে সফল স্পট কিকে জয়সূচক গোলটি করে আনন্দে মাতেন রাফিনিয়া। আর পুরো ম্যাচজুড়ে গলার কাছে আটকে থাকা হৃদয়টি এক ঢোকে নামিয়ে দিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গ্যালারি।

পুরো মাঠ যখন উদযাপনে ব্যস্ত, এক ফাঁকে কোনো এক ক্যামেরার লেন্স তখন ঘুরে যায় বোরহা ইগলেসিয়াসের দিকে, হ্যাটট্রিক করেও শেষের দিকে উঠে বেঞ্চে বসে থাকা এই স্ট্রাইকারের চোখেমুখে তখন দুর্বোধ্য এক অভিব্যক্তি। তা ঠিক কেমন, বুঝতে হলে ফিরে যান ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে। হ্যাটট্রিক করেও টাইব্রেকারে হারের পর কিলিয়ান এমবাপ্পের চোখেমুখে যে অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছিল, ঠিক তাই।

যাইহোক, মাঠে থাকা সেল্তার খেলোয়াড় ও সফররত সমর্থকদের বিবর্ণ চেহারার কিছুটা টিভি স্ক্রিনে দেখা গেলেও ম্যাচের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা লিগার প্রতিযোগিতায় ফেরার যে আশা একটু একটু করে বড় হচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকদের মনে, শেষের ওই গোলে সমূদ্রের একটি বড় ঢেউয়ের তোড়ে তটে গড়া বালুর মূর্তির মতোই তা মুহূর্তে মিলিয়ে গেল।

সামনাসামনি তা দেখা না গেলেও বার্সেলোনা সমর্থকদের অনেকেই তা জানেন। আর রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের কেউ লেখাটি পড়লে নিশ্চয়ই তার মুখে ফুটেছে চাপা হাসির রেখা।

   

About

Popular Links

x