নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চের সঙ্গে কার্গোর ধাক্কায় ১১ জন নিহতের ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারও পণ্যবাহীর কার্গোর সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে মদনগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কার্গোর সঙ্গে যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি নিউ আরিফের সংঘর্ষ হয়।
বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লঞ্চ এম ভি নিউ আরিফ প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে এসে আমিরাবাদ এবং সকাল ৯ টায় মহনপুর এবং সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ষাটনল ঘাট হয়ে সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের উদ্দেশে রওনা হয়। লঞ্চটি নদীর মদনগঞ্জ সংলগ্ন তৃতীয় শীতলক্ষ্যার নির্মাণাধীন সেতুর কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীর একপাশে দাঁড় করানো পণ্যবাহী এক কার্গোকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন আহত হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ পাঠানো হয়। লঞ্চটির তেমন কোনো ক্ষতি না হওয়ায় যাত্রীদের নিরাপদে ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে লঞ্চ মাস্টার ও ইঞ্জিন ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিআইডব্লিউটিএ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টার আবুল কাশেম ও ইঞ্জিনের দায়িত্বে থাকা খোকনের খামখেয়ালীপনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাগজপত্র দেখে নৌ পুলিশসহ অন্য কর্তৃপক্ষের সামনে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের তৃতীয় শীতলক্ষ্যা ব্রীজ সংলগ্ন কয়লাঘাট এলাকায় এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী এম এল আশরাফ উদ্দিন লঞ্চডুবিতে ১১জন নিহত হয়। এ ঘটনায় ঘটনার দিন তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২১ মার্চ কার্গোর চালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অবহেলা ও বেপরোয়া গতিতে চলাচলের অভিযোগে বিআডব্লিউটি এর নদী বন্দর বিভাগের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে নৌ আদালত ও বন্দর থানায় ২টি মামলা করেন।