বাংলাদেশ এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (জিসিসি)-এর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য নিয়মিত কনসালটেশনের লক্ষে উভয় পক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও জিসিসির পক্ষে সংস্থাটির মহাসচিব ড. নায়েফ ফালাহ এম আল-হাজরাফ এই স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বাহরাইনের মানামা ডায়ালগ কনফারেন্সের সাইডলাইনে এই স্মারক সই হয়। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও জিসিসি মহাসচিব নায়েফ আল হাজরাফে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করেন।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে উভয় পক্ষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সহযোগিতার জন্য নিয়মিত আলোচনা করবে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ও জিসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জিসিসি মহাসচিব বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ ও জিসিসির মধ্যে সহযোগিতার আইনি কাঠামো হিসেবে যৌথ কর্মপরিকল্পনা, যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টেকনিক্যাল টিম, জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল এবং জিসিসি ফোরামের মাধ্যমে কাজ করবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে জোর দিয়ে বলেন, “দক্ষতা উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংকট ব্যবস্থাপনা, শান্তি ব্যবস্থাপনা, বনায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তি সহযোগিতা, পিটিএ/এফটিএ-এর জন্য বাংলাদেশ ও জিসিসির একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন।
ড. মোমেন জিসিসি মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন