“উইমেনস ওয়ার্ল্ড” নামের একটি বিউটি পার্লারের ধানমন্ডি শাখায় গোপনে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ-সংরক্ষণের অভিযোগে পার্লারটির মালিক ফারনাজ আলমকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর জামিন দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিন দেওয়া হয়।
এর আগে, পার্লারে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গোপন ভিডিও করার অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়। মামলায় পার্লার মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম ও ফারনাজ আলমসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে ইংরেজি সংবাাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, এমিরেটস-এর একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরার পর শনিবার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে ফারনাজকে আটক করা হয়।
পুলিশের ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আবু তালেব বলেন, “ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদেরকে জানানোর পর আমরা তাকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে পাঠিয়েছি।” কিন্তু যেহেতু তিনি সন্তানসম্ভবা, তাই পুলিশ তাকে রিমান্ডে রাখার আবেদন করবে না বলেও জানান তিনি।
এর আগে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই পার্লারের তিন কর্মীকে গত ২৭ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন তাসলিম আরিফ ইলিয়াস, এমদাদুল হাসান ও জুয়েল খন্দকার। ওই দিনই তাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পরে কারাগারে পাঠানো হয়।
তখন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জানিয়েছিলেন, এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ ডিসেম্বর রাতে পারলারে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে ওই নারী কোনো মামলা করতে চাননি, তাই থানা থেকে মামলা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় পুলিশ বিউটি পার্লারের চেঞ্জিং রুম ও অন্যান্য স্থানে স্থাপিত আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং আটটি ডিভিআর বক্স খুঁজে পায়।
ওসি বলেন, “গ্রেপ্তার কর্মীরা দাবি করেছেন সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো মালিকদের নির্দেশে স্থাপন করা হয়েছিল।
২০১১ সালে হাইকোর্ট দেশের সমস্ত বিউটি পার্লারের সার্ভিস রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা সরানোর নির্দেশ দেন।