ভুয়া সনদে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক লিমিটেডে চাকরি করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চার কর্মকর্তা। এক যুগেরও বেশি সময় পর পদোন্নতির সময় শিক্ষা সনদ যাচাইয়ের সময় দেখা যায়, তারা সনদ জালিয়াতি করে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
গত ২ এপ্রিল অভিযুক্ত চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। পরে তাদের বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে পলাতক আছেন তারা।
অভিযুক্ত এই চার কর্মকর্তা হলেন টেলিটকের বিপণন বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা মীর সাইফুল ইসলাম, পি এম মাসুদ, আরেক কর্মকর্তা তোয়াবুর রহমান ও এলিয়েট লেনার্ড ফ্রেজার।
এদের মধ্যে বিপণন বিভাগের মীর সাইফুল ইসলাম ২০০৫ সালে, একই শাখার পি এম মাসুদ ২০০৭ সালে, তোয়াবুর রহমান ২০০৮ সালে ও এলিয়েট লেনার্ড ফ্রেজার ২০০৫ সালে ভুয়া সনদে চাকরি নেন।
টেলিটক সূত্রের বরাতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টেলিটক। এজন্য ৩৬ কর্মকর্তার সনদ যাচাই করা হয়। এসময় অভিযুক্ত চারজনের সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই টেলিটক বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রাকিবুল আলম বলেন, “অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।”