বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তবে এর নাম হবে “রিমাল”। নামটি ওমানের দেওয়া, এর অর্থ “বালু”।
এদিকে নিম্মচাপের প্রভাবে দেশে উপকূলীয় জেলাগুলোতে মেঘলা আকাশসহ কোথা কোথাও বৃষ্টি হলেও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহ আজও অব্যাহত রয়েছে। এতে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
এ অবস্থায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে। শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভারি বৃষ্টিপাত ছাড়া তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে বঙ্গোসাগরে সৃষ্টি নিম্নচাপ বা সম্ভ্যাব্য ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ নমাতে পারে। তবে কয়েক দিন বাদেই ফের বাড়বে তাপমাত্রা।
এর আগে এ বছর পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়েছে গোটা দেশ। ৩০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা এই বছরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গরম কিছুটা কমলে দ্বিতীয় সপ্তাহে তা আবার বাড়তে শুরু করে। মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে তা আরও প্রখর রুপ ধারণ করে।
প্রসঙ্গত, ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।