মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর যুবকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বান্ধবীসহ সেই তরুণী গণধর্ষণ হন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এ ঘটনায় মধ্যরাতে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীদের একজন। এতে ওই যুবকসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও মালিক খোকন মিয়া ও মো. মহসিন নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার সেই দুই তরুণী পরস্পরের বান্ধবী। একজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, আর অন্য জনের চাঁদপুর। কুমিল্লা নগরের একটি মেসে তারা ভাড়া থাকেন এবং গৃহকর্মীর কাজ করেন। নাঙ্গলকোটের নুরপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের সঙ্গে তাদের একজনের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা ৯ জানুয়ারি শহীদুলের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে ৭ জনের একটি দল তাদের দুজনকে তুলে নিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সোমবার রাতে নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘মহসিন নামের ওই ব্যক্তি যুবদলের রাজনীতি করেন বলে আমার জানা নেই। আমি এখন ঢাকায় আছি, এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এ ঘটনায় যুবদলের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত থাকেন, তাহলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চাই, ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, “ঘটনার ৪ দিন পর সোমবার রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আগেই জানাজানি হওয়ায় আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।”
তবে মামলার ৩ নম্বর আসামি মহসিনের বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘‘আমার ছেলে যুবদলের রাজনীতি করে। এ জন্য একটি গ্রুপ আমার ছেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছিল। এখন মেয়ে দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।’’
এ প্রসঙ্গে ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। থানায় মামলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।’’