গ্রাম ও শহরে বৈষম্যহীনভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লোডশেডিংয়ের শিডিউল ২৪ ঘণ্টা আগে কেন প্রকাশ করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
জনস্বার্থে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।
রিটকারী আদালতকে বলেন, “গরমের সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি পরিমাণে লোডশেডিং হয়। এর ফলে এসব এলাকায় থাকা পোল্ট্রিসহ নানা উৎপাদনমুখী শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছিলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এজন্য দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া সেচ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার কথাও বলেন তিনি।
এদিকে, আসন্ন গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম এবং রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সোমবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই পদ্ধতিতে সেচ কাজ করতে বলা হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, লোডশেডিং এড়াতে এসি’র তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখাসহ দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার ও আলোকসজ্জা পরিহার করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। কোনও কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে বিদ্যুৎ বিভাগের হটলাইন ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
অপর হটলাইনগুলো হলো— বিদ্যুৎ বিভাগের কন্ট্রোল রুম-০২-৪৭১২০৩০৯, ০১৭৩৯-০০০২৯৩, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৬২০০, ০১৭০৮-১৪৯৫০২, ০১৭০৮-১৪৯৫০৩, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ১৬৮৯৯, ০২-৮৯০০৫৭৫, ০১৭৯২-৬২৩৪৬৭, ডিপিডিসি ১৬১১৬, ডেসকো ১৬১২০, নেসকো ১৬৬০৩, ওজোপাডিকো হটলাইন ১৬১১৭ ও কন্ট্রোল রুম ০২-৪৭৭৭২৪৪৭২, ০১৭৫৫৫৬৮৭৮১।