Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

চাঙা হয়ে ওঠেছে পুরান ঢাকার পাইকারি-খুচরা ব্যবসা

প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এসব পাইকারি বাজারে

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে পুরান ঢাকার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা বেশ চাঙা হয়ে ওঠেছে। বাংলাবাজার, চকবাজার, নওয়াবপুর, সদরঘাট, বংশাল, গুলিস্তান, কাপ্তানবাজার, শ্যামবাজার ও ইসলামপুরের পাইকারি বাজারগুলোতে ব্যস্ততম সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এসব পাইকারি বাজারে।

বিশেষ করে সদরঘাটের শরীফ মার্কেট পাঞ্জাবির জন্য, ইস্ট বেঙ্গল সুপার মার্কেট ও গুলশান আরা সিটি পাইকারি কাপড়ের জন্য এবং ইসলামপুর, হকার্স মার্কেট ও লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেট পাইকারি ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। খুচরা ব্যবসায়ীরা এখান থেকে তুলনামূলক কম দামে পণ্য কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন।

সদরঘাট লঞ্চঘাটের সুবিধার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি কেনাকাটার জন্য এখানে আসেন।

কেরানীগঞ্জের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “ঈদের জন্য দোকানে পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। শরীফ মার্কেটে ভালো মানের পাঞ্জাবি পাইকারি দামে পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছর এখান থেকেই কিনি। দেশীয় খাদি ও সুতি পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি, তবে দাম কিছুটা বেশি। ঈদের সময় ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছি।”

ইস্ট বেঙ্গল সুপার মার্কেটের বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, “গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম। আমরা মূলত পাইকারি ব্যবসা করি। আবার ২০ রমজানের পর বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত যে বিক্রি হয়েছে, তা আশানুরূপ নয়।”

লেডিস পার্ক হকার্স মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক কাজল খান বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি কিছুটা ভালো। যেহেতু পাইকারি বিক্রি রমজানের শেষের দিকে কমে আসে, তাই আমরা আশাবাদী শেষ মুহূর্তে ব্যবসা আরও বাড়বে।”

খুচরা বাজারেও জমজমাট বেচাকেনা

পাইকারি বাজারের পাশাপাশি পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার ও আশপাশের এলাকায় খুচরা ব্যবসাও জমে ওঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান ও ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রি-পিস, জুতা, প্যান্ট, কসমেটিকসসহ নানা পণ্যের দোকানে ক্রেতাদের ব্যস্ততা দেখা গেছে।

লক্ষ্মীবাজারের পোশাক ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারতীয় ও পাকিস্তানি পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি।”

ফুটপাতের দোকানগুলোতেও ভিড় লেগে আছে। বাংলাবাজার, সদরঘাট ও আশপাশের ফুটপাতের দোকান থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে পোশাক ও আনুষঙ্গিক পণ্য কিনছেন।

পরিবার নিয়ে কেনাকাটায় আসা মাকসুদুল হক বলেন, “গত বছরের তুলনায় দাম বেশি, কিন্তু ঈদের কেনাকাটা তো করতেই হবে। তাই বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে কম দামে ভালো জিনিস খুঁজছি।”

লক্ষ্মীবাজারের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ঈদের বাকি কয়েক দিনে বিক্রি আরও বাড়বে। এই সময়ে ভালো ব্যবসা হলে সারা বছরের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ঈদের আগে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় পুরান ঢাকার বাজার আরও জমে উঠবে এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রি বাড়বে।

   

About

Popular Links

x