মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৫ বছরের এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে এক মুদিদোকানির বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এই মামলায় দোকানিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযুক্ত মুদিদোকানি শাহ আলম খানকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শিশুটি মুদিদোকানে গেলে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভেতরে ডেকে নিয়ে যান শাহ আলম। এসময় তিনি শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন বলে অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শিশুটির ফুফু দোকানে এসে ঘটনাটি দেখে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুর ফুফু এর প্রতিবাদ করেন। তখন শাহ আলম ও তার পরিবারের লোকজন শিশুটির ফুফুর ওপর চড়াও হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজন জানান, কোনো শিশু ওই দোকানে গেলে আশপাশে কেউ না থাকলে শাহ আলম বাচ্চাদের তার কোলে নিয়ে বসান। চকলেট, বিস্কুট ও বেলুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাতাহাতি করেন। এর আগেও কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। তবে অভিযুক্ত শাহ আলমের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি।
এ বিষয়ে শিশুটির ফুফু বলেন, “ভাতিজির ঘটনার পর থেকে স্থানীয়ভাবে আমাদের মীমাংসার জন্য জোরাজুরি করা হয়। আমরা না মানায় আমাদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। উল্টো আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে।”
এ ঘটনা সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম গণমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমরা মঙ্গলবার রাতে জানতে পারি। রাতেই ওই বৃদ্ধকে আটক করা হয়। বুধবার সকালে শিশুটির মা বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।”
শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা প্রসঙ্গে আনোয়ার আলম আরও বলেন, “শিশু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। কেউ তাদের হুমকি দিয়ে থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”