Friday, March 21, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

অর্থমন্ত্রী: সর্বজনীন পেনশন চালু হলে টাকা রাখার জায়গা পাব না

অর্থমন্ত্রী মনে করেন, নিকট ভবিষ্যতে দেশের জন্য খুবই ভালো অবস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ডলার সংকটও কেটে যাবে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় ইতিবাচকভাবে বাড়ছে

আপডেট : ০২ জুন ২০২৩, ০৩:৩৬ পিএম

এ বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে “সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩” পাশ হয়েছে। এই পেনশন-সুবিধা পেতে ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর প্রিমিয়াম বা চাঁদা দিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা এর আওতায় থাকবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করেন, “নতুন অর্থবছরেই সর্বজনীন পেনশন চালু হবে।” তিনি জানান, এ জন্য শিগগিরই একটি পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে এ কর্তৃপক্ষকে কার্যকর করা হবে।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান নিশ্চিত ও “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার প্রয়াসকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

এই বাজেট সব পক্ষকে খুশি করার জন্য দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষকে। তিনি মনে করেন, “নিকট ভবিষ্যতে দেশের জন্য খুবই ভালো অবস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ডলার সংকটও কেটে যাবে।” এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় ইতিবাচকভাবে বাড়ছে।

বাজেট পেশ করার পর দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো কথা বলেছে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই আশা ব্যক্ত করেন।

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু প্রসঙ্গে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, “সর্বজনীন পেনশন চালু হলে টাকা রাখার জায়গা পাব না। আয় আসবেই। আয় বৃদ্ধির এ ছাড়াও নানা পথ তৈরি হচ্ছে। পদ্মা সেতুসহ প্রত্যেকটা সেতু থেকে টোল আদায় হবে।”

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এই বাজেটের অন্যতম চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি। বৈশ্বিক অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তা অন্যান্য সময়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা নিয়ন্ত্রণ হবে এবং এ জন্য পদক্ষেপ নেবেন তিনি। এমন সব পদক্ষেপ নেবেন যে মূল্যস্ফীতি কমবেই। জিনিসপত্র কম আমদানি করব। আর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুরক্ষা দেব। প্রস্তাবিত বাজেটেই তাদের জন্য নানা ঘোষণা দেওয়া আছে। ভাতা বাড়ানো হচ্ছে, ভাতাভোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য যত নীতি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সবই নেওয়া হচ্ছে।”

রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ আরও মনোযোগী হচ্ছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি খুবই আশাবাদী। আমদানি ভিত্তিক দেশের পরিবর্তে আমরা ধীরে ধীরে রপ্তানি ভিত্তিক দেশে পরিণত হব। এ জন্য কৃষি খাতে আরও বেশি ভর্তুকি দেব। কৃষি খাতে ভর্তুকি দিতে আমাদের টাকার কোনো অভাব নেই।”

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়নও এই বাজেটের আরেকটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির শর্ত পূরণ করতে না পারলে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে বাংলাদেশকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।  রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যাপারে আইএমএফ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে সরকার। 

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সংস্থাটি সব সময় ভালো পরামর্শ দেয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হয় তাদের পরামর্শ। তারা সব সময় বিকল্প পথ দেখায়। বিশ্বব্যাংকের চেয়ে বেশি পথ বাতলিয়ে দেয় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক অনেকটা সহজ পথে চলে।”

   

About

Popular Links

x