স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চালবাহী একটি জাহাজ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে ভিড়বে মোংলা সমুদ্রবন্দরে। এটি প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর এবং পরবর্তীতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর চাল আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জি-টু সই করা হয়। বাসমতি চাল সরবরাহ করছে পাকিস্তানি ট্রেডিং কর্পোরেশন। ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে করাচির পোর্ট কাসিম থেকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। পাকিস্তান সরকার অনুমোদিত প্রথম কার্গো বন্দর কাসিম ছেড়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কারণ ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তানের (টিসিপি) মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল কিনতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তিটি ফেব্রুয়ারির শুরুতে চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
চালের চালানটি দুটি ধাপে সরবরাহ করা হবে। প্রথম ২৫ হাজার টনের চালানটি এখন বাংলাদেশে পৌঁছে যাচ্ছে। দ্বিতীয় চালানটি মার্চের শুরুতে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। এই বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সরাসরি জাহাজ চলাচল সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো সরকারি পণ্য বহনকারী পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) একটি জাহাজ বাংলাদেশের একটি বন্দরে নোঙর করবে, যা সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই উন্নয়নকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কয়েক দশক ধরে সুপ্ত থাকা বাণিজ্য চ্যানেলগুলো পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিত সরকার জানান, চালের সংকট মেটাতে পাকিস্তান থেকে চাল আসছে। পাকিস্তান থেকে আসা চাল প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে এবং পরবর্তীতে ৪০% মোংলা বন্দরে খালাস হবে। তার আগে মিয়ানমারের চাল পৌঁছাবে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের হলদিয়া স্থলবন্দর থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল মোংলা বন্দরে ভেড়ে।