২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে ১ জুলাই থেকে। আর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা সম্পন্ন করতে হবে।
বাজেট অনুযায়ী এবারও বার্ষিক আয় সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। তবে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য কর সংক্রান্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব পরিবর্তন করদাতাদের কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিলেও, সঠিকভাবে রিটার্ন জমা দিতে হলে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
করের হিসাব-নিকাশের সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে, সেগুলো হলো:
ভাই-বোনের দানে কর অব্যাহতি
এবারের বাজটে, আপন ভাই বা বোনের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ বা সম্পদ দানের আওতায় কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুধু স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা বা সন্তানদের দেওয়া সম্পদ করমুক্ত থাকলেও এখন থেকে আপন ভাই-বোনের মধ্যে দান করমুক্ত। এর ফলে পরিবারের মধ্যে জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য সম্পদ হস্তান্তর অনেক সহজ হবে। এছাড়া, প্রবাসে থাক ভাই বা বোনের পাঠানো অর্থও কর অব্যাহতি পাবে।
কৃষি আয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড়
বাণিজ্যিক কৃষি কর্মকাণ্ড উৎসাহিত করতে এবার কৃষিখাতেও নতুন কর ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাজেট অনুযায়ী করদাতাদের বছরে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষি আয় করমুক্ত থাকবে। বর্তমানে অনেকেই জমি কিনে কিংবা লিজ নিয়ে সবজি চাষসহ কৃষিকাজে যুক্ত হচ্ছেন, তাদের জন্য এটি প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।
বেসরকারি চাকরিজীবীদের ছাড়ের অঙ্ক বেড়েছে
বেসরকারি চাকরিজীবীরা করযোগ্য আয়ের হিসাবের সময় বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধার কিছু অংশ বাদ দিতে পারেন। এতদিন যেখানে সর্বোচ্চ সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যেত, এখন তা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশনের আয় করমুক্ত
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আওতায় যারা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রয়েছেন, তাদের এই খাত থেকে আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। বর্তমানে এই স্কিমের আওতায় রয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক। এছাড়া, পেনশন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আয়ের ওপরও কর প্রযোজ্য হবে না।
মরণব্যাধির চিকিৎসার জন্য পাওয়া অর্থ করমুক্ত
চাকরিজীবীদের মধ্যে যারা কিডনি, লিভার, ক্যানসার, হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার বা কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো গুরুতর চিকিৎসার জন্য অর্থ পান, তাদের এই চিকিৎসা ব্যয় করমুক্ত থাকবে।