যৌন হয়রানির মামলায় অভিযুক্ত ৬২ বছর বয়সি প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে বাকিংহাম প্যালেসে নিষিদ্ধ করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। এ বছরের জানুয়ারিতে রাজকীয় খেতাব হারিয়েছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার পর থেকে রাজপ্রাসাদে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর জন্য কোনো কক্ষ বা কার্যালয় বরাদ্দ থাকবে না।
যদিও এর আগে প্রয়াত রানী এলিজাবেথ তার ছেলে অ্যান্ড্রুকে প্রাসাদ ব্যবহারের অলিখিত অনুমোদন দিয়ে রেখেছিলেন।
তবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই রাজা চার্লস তার ভাই অ্যান্ড্রুকে জানিয়ে দেন, কখনোই তিনি আর রাজপরিবারে ফিরতে পারবেন না।
গত মাসে রাজা তার ভাইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তুলে নেন।
এমনকি মায়ের শেষকৃত্যের আয়োজনেও সামরিক ও রাজকীয় পোশাক পরার অনুমতি পাননি অ্যান্ড্রু।
এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বাকিংহাম প্যালেসে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
তবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, প্রাসাদে তার সব ধরনের উপস্থিতি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হয়েছে। রাজা এটি পরিষ্কার করেছেন। তিনি (অ্যান্ড্রু) আর রাজকীয় কার্যদায়িত্বে নেই। এখন তিনি নিজের জিম্মায়।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার পর তার ছেলে চার্লস যুক্তরাজ্যের রাজা হিসেবে দায়িত্ব নেন। রানির স্বামী প্রিন্স ফিলিপ গত বছর ৯৯ বছর বয়সে মারা যান।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপের চার সন্তান—চার্লস, প্রিন্সেস অ্যানি, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও প্রিন্স এডওয়ার্ড।