Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

নালন্দার শিশুদের সঙ্গে প্রাণ-প্রকৃতি দর্শন

আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো আরও উদার হতে পারত

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে সরদার ফজলুল করিমের কোনো এক লেখায় তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটা ঘটনা পড়ে আপ্লূত হয়েছিলাম। যতটুকু মনে আছে বক্তব্যটা ছিল এরকম “আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম ইংরেজি বিভাগে। কিন্ত করিডোর ধরে হাঁটতাম আর বিভিন্ন বিভাগের ক্লাসরুমে ঢুকে শিক্ষকদের লেকচার শুনতাম। দর্শনের হরিপদ দত্তের লেকচার শুনে ভালো লেগে গেল। ক্লাস শেষে ওনাকে গিয়ে বললাম, স্যার আমি আপনার বিভাগে ভর্তি হতে চাই। উনি বললেন, চলে এসো।”

আপ্লূত হয়েছিলাম একথা ভেবে যে, বিশ্ববিদ্যালয় বোধহয় এমন এক জায়গা, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভালোলাগা-মন্দলাগা, পছন্দ-অপছন্দ শিক্ষককে বলতে পারেন। শিক্ষকরা সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন। সেখানে এমন এক পরিবেশ আছে যে, কেউ চাইলেই বিভাগ পরিবর্তনের মতো বিষয়ও খুব জটিল কোনো ব্যাপার নয়। কিন্ত নিজের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সঙ্গে সরদার ফজলুল করিমের বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষকদের মিল খুঁজে পাইনি।

তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যে মনে আছে সেটা একাডেমিক কারণে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের কারণে এবং গুটিকয়েক শিক্ষকের কথা যে আজও মনে আছে, সেটা তাদের পড়ানো কিংবা পাণ্ডিত্যের কারণে নয়; তাদের ভাবনার কারণে, ভাব বিনিময়ের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তো বটেই, কর্মজীবনে এসেও বারংবার মনে হয়েছে, আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলো আরও উদার হতে পারত, আমাদের চিন্তার জট খুলতে, ভাবনার বিস্তার ঘটাতে আরও বেশি ভূমিকা পালন করতে পারত।

বছর সাতেক আগে একদিন কর্মস্থলে পরিত্যাক্ত কাগজপত্রের মধ্যে ধূলিমাখা একটা বই খুঁজে পাই। ধুলি ঝেড়ে বইটির সম্পাদকীয় এবং অনুবাদকের কথা পড়ে আগ্রহের সাথে বইটি পড়তে শুরু করি। বইটি পড়ার পর, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলে গিয়ে আফসোস শুরু করি আমার স্কুলজীবন নিয়ে। মনে হলো, আমাদের স্কুলজীবন এমন হতে পারত। যে স্কুলের ক্লাস হয় পরিত্যক্ত রেলের কামরায়, যেখানে কৃষি বিষয়ে আলোচনার জন্য ডেকে আনা হয় খোদ কৃষককেই। টিফিনে বাচ্চারা কী খাচ্ছে তদারকি করেন প্রধান শিক্ষক নিজেই। টিফিন বক্স চেক করার জন্য যে প্রশ্ন সেটা যেন আমি নিজেই শুনতে পাই, দেখি পাহাড় থেকে কি এনেছ? দেখি আজ সাগর থেকে কী এনেছ। অর্থাৎ টিফিনে ডিম আছে কি-না, সামুদ্রিক মাছ আছে কি-না। স্কুলের হেডমাস্টার সোসাকু কোবায়ায়াশি, যিনি ছিলেন চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তিনি তার শিশু শিক্ষার্থীদের সেভাবেই গড়ে তুলতে চেয়েছেন কিংবা বলা যায় গড়ে উঠবার পরিবেশ নিশ্চিত করেছিলেন।

আমার মনে হয়, আমাদের সব স্কুল যদি এমন হত। আবার একথাও মনে হয়, এই দেশে সব স্কুল এই আদলে বাস্তবে প্রতিষ্ঠা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু সব স্কুলের শিক্ষকদের, যেসব মা-বাবার ছেলেমেয়েরা প্রাইমারিতে পড়ে তাদের সবাইকে যদি আমি বইটি উপহার দিতে পারতাম। বইটির নাম “তোত্তোচান”। জাপানি ভাষায় লেখা এই বইয়ের চরিত্র “তোত্তোচান” বাস্তবে জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব তেৎসুকো কুরোনায়াগি যিনি তার সাফল্যের সমস্ত কৃতিত্ব দিয়েছেন তার স্কুল এবং হেডমাস্টারকে। কতজনকে যে এই বইয়ের গল্প শুনিয়েছি।

বছর দুয়েক আগে নালন্দার একজন অভিভাবককে এই বইটির কথা, সেই  স্বপ্নের স্কুলের কথা বলি। তিনিও বাড়ি ফিরে তার কন্যাকে এই বইয়ের গল্প বলতেই তার কন্যার বক্তব্য, “বাবা এই বইটা তো নালন্দাতে আমাদের পড়ানো হয়।” তিনি যখন পরের দিন সাক্ষাতে আমাকে এই কথা বলেন, তখনও আমি আপ্লূত হই। কিন্তু বয়সের কারণে কি-না জানিনা এখন আবেগের সঙ্গে একটু সংশয়ও মনের কোণে পুষে রাখি। তোত্তোচান শিশুদের পড়ানো, আর তোত্তোচানের সেই স্কুলের মত স্কুল বাস্তবে প্রতিষ্ঠা, সেই প্রধান শিক্ষকের মতো শিক্ষক হয়ে উঠা, অন্য সহকর্মীদের তার ভাবনার সঙ্গে একীভূত করতে পারা সেগুলো তো খুব সহজ কাজ নয়। পরিবেশ, প্রতিবেশ সবকিছুও তো অনুকুলে থাকতে হবে কিংবা করে নিতে হবে। চাইলেই তো হয় না; রীতিমত সাধনার ব্যাপার। তার বেশি প্রয়োজন মননের।

ইতোমধ্যে আমার নিজের সন্তান গতবছর নালন্দাতে ভর্তি হয়েছে। তাই নালন্দার সঙ্গে একটা সরাসরি সংযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে যেটাকে বলে নিঃসংশয় হওয়া সেটা অনেকটাই হলাম গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নালন্দার প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের সঙ্গে দিনব্যাপী শিক্ষাসফরে গিয়ে।

ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে নোটিশ পেলাম ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রাক প্রাথমিকের শিশু তদের শিক্ষাভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হবে। মা-বাবা কিংবা কমপক্ষে একজন অভিভাবককে সঙ্গে যাবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেতে হবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। ভ্রমণ নোটিশের নির্দেশনা অনুসারে ছেলেকে নিয়ে যথাসময়ে হাজির হই মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের মূল ফটকে। কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শিক্ষকেরা শিশু এবং অভিভাবককে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছেন। শিক্ষকদের সালাম, আদাব, শুভ সকাল বলার বালাই সেই অর্থে নাই। এক একজন শিশু এসেই শিক্ষকদের নাম ধরে আপুমণি, ভাইয়া বলে যে চিৎকার দিচ্ছে!

আমার মনে হলো, সেই আপুমণি, ভাইয়া ডাকের মধেই সালাম, আদাব, শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা, ভালবাসা মিলেমিশে একাকার।

মনে পড়ে যায়, আগন্তক সিনেমাতে উৎপল দত্তের সেই সংলাপ, “এই হাসির চেয়ে বড় থ্যাংক ইউ আর কিছু হতে পারে না।” তেমনি শিশুদের তাদের প্রিয় শিক্ষকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চিৎকার করে ডাকের বিকল্প কি কিছু হতে পারে?  ফটকের সামনেই শুরু হয়ে গেছে একদলের ছোটাছুটি। শিক্ষকদের খুব যে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ছিল এমন নয়। সাধারণত এত বড় আয়োজনে আয়োজকদের চোখেমুখে কিঞ্চিত হলেও যে উদ্বিগ্নতার ছাপ সেটাও চোখে পড়েনি। ভ্রমণে যাবে বলে নিশ্চিত হওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ উপস্থিত হওয়ার পরই শ্রেণি অনুয়ায়ী লাইন ধরিয়ে অভিভাবকসহ প্রবেশ করানো হয় জাতীয় উদ্যানে। শিশুদের উৎসাহিত করা হয় গাছ দেখতে, গাছ চিনতে। কিন্তু সেই উৎসাহকে উৎসাহই বলতে হবে, তাকে গতানুগতিক শিক্ষক্সুলভ নির্দেশনা ভাবার কোন সুযোগ ছিল না। শিশুদের দুষ্টুমি, চঞ্চলতা, কথা সবই শিক্ষকেরা উপভোগ করছেন। কোনো বিধিনিষেধ আরোপ সেই অর্থে ছিল না। ছিল না গুরুগম্ভীর কোনো নির্দেশনা। মূল ফটক থেকে অর্থকিলোমিটারের বেশি রাস্তা হেঁটে গিয়ে গোল হয়ে বসা হল একটা মুক্ত জায়গায়। শিশুদের জিজ্ঞাসা করা হলো, তোমরা কীসের নিচে বসে আছ বলত?

ঘাসের ওপর।

ঘাসের ওপর তো বটেই, কীসের নিচে বসে আছ?

বাংলাদেশের নিচে।

বাহ, ঠিকই তো বাংলাদেশের নিচেচে। আর কেউ?

আকাশের নিচে।

শিশুরা কিছুটা থিতু হবার পর শুরু হলো একের পর একের সমবেত গান। শিশুদের আশেপাশে কিংবা একটু দূরে পুরানো পত্রিকা বিছিয়ে অভিভাবকেরাও একটু আরাম করে বসেছেন সবে। কিন্তু সেই সমবেত গান,পুতুল নাচ কি আর তাদেরকে বসবার ফুসরত দিবে? তারাও এসে গলা মেলাতে শুরু করেছেন। কেউ নিজের শিশুসহ তার বন্ধুদের ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন কিন্তু মূল আয়োজনের বিঘ্ন না ঘটিয়েই। এই পর্বে সবচেয়ে যেটা ভাল লেগেছে, সেটা হলো গানের সঙ্গে সঙ্গে তালে তালে, ছন্দে, ছন্দে শিক্ষকদের নাচ। শিশুমনের অধিকারী না হলে ক্লাসের বাইরে একজন পরিণত মানুষের একটু আড়ষ্টতা কাজ করেই।  কিন্তু আমি কোনো আড়ষ্টতা দেখিনি। একটা কথা এখানে বলে নিতে চাই, ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান এসে যুক্ত হয়েছেন। আমরা যেভাবে দেখে অভ্যস্ত কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান এলে অন্যরা কারণে, অকারণে নিজের কাজ ফেলে সামনে গিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। সেটারও ব্যতিক্রম ছিল এই আয়োজনে। গান  এবং সকালের হালকা খাবার শেষে তিনিই হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে এগিয়ে চললেন, গোলাপ বাগান, অর্কিডের শেড পেরিয়ে উদ্যানের প্রান্তের একটা ঢালু জায়গা বেয়ে নিচে নেমে আবার ওপরে উঠতে হয়, আমি এর আগে একবারই জাতীয় উদ্যানে গিয়েছি। তাই জায়গাটাকে একেবারে নতুন আবিষ্কার মনে হলো। প্রধান শিক্ষক বললেন, উদ্যানে এসে এই জায়গাটাতে না এলে ঠিক উদ্যানের আবহটা অনুভব করা যায় না।

গাছের গুড়ি, ছড়ি এবং লম্বাভাবে ঝুলে থাকা কাণ্ডে চড়ে শিশুদের কী যে আনন্দ। খুব সামান্য সময়ের বিরতি, যেটা শিশুদেরকের তাদের মতো করে উদযাপনের জন্য দিয়ে আবার টিলার মত কিছটা উপরে উঠে সরু রাস্তা ধরে ঝাউবনের পাশে একটা  উন্মক্ত মাঠে গিয়ে বসা হলো, যেখানে শিশুরা এ পর্যন্ত যা যা দেখেছে তাদেরকে সেগুলোর  ছবি আঁকতে বলা হল। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো, আমরা আমাদের শিশুদেরকে নালন্দাতে ভর্তি করেছি, ওরা আনন্দময় পরিবেশে বেড়ে উঠবে কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবকই উদগ্রীব হয়ে শিশুদের ঘিরে দাঁড়িয়ে আছি, আমার বাচ্চা কী আঁকছে, কেমন আঁকছে কিংবা কিংবা অবচেতনে এই ভেবে যে অন্যদের চেয়ে ভালো আঁকছে কি-না দেখবার জন্য। হতে পারে আমার ধারণা ভুল।

যাই হোক, ততক্ষণে সুর্যদেবও তাপ ছড়াতে শুরু করেছেন। অভিভাবকদের ভিড়ের কারণে বাচ্চারা পর্যাপ্ত বাতাস পাচ্ছে না। তাই তাদের শিশুদের নিকট থেকে সরে যেতে অনুরোধ জানানো হলো।

ছবি আঁকা শেষ হতে হতে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যাওয়াতে ছবির প্রদর্শনী স্থগিত রেখে বাঁশ বাগানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হলো। ত্রিপল এবং পত্রিকা বিছিয়ে খাবার আয়োজন। একটা বনভোজনের আমেজ ছিল, শুধু খাবারটা বনের মধ্যে রান্না নয়। দুপুরের খাবার শেষে পদ্মফুলের বন পেরিয়ে পুকুরের ধার ধরে আবারও ফিরে আসা হলো মূল ফটকে। এবারের পর্ব চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানাতে প্রবেশের পর সবাই কিছুটা এলোমেলো হয়ে যান। ঘণ্টা দুয়েকের বেশি  চিড়িয়াখানা  দর্শনটা আরেকটু গোছালো হতে পারত। শিশুদের প্রাণি এবং পাখি সম্পর্কে ধারণা প্রদানের জন্য নয়; আমাদের দর্শনের জন্য, আনন্দের জন্য ওদের বন্দীত্ব নিয়ে একটু আলাপ হতে পারত। সেটা সফর শেষে শ্রেণিকক্ষে হয়েছে নিশ্চয়ই। খুব সংগঠিতভাবে করতে গেলে হয়ত, শিশুদের আনন্দে কিছুটা বিঘ্ন ঘটত। শিশুরা অনেক প্রাণিকেই সেদিনই প্রথম সামনে থেকে দেখেছে। কী দারুণ উত্তেজনা তাদের মধ্যে। হাঁটতে হাঁটতে অভিভাবকেরা, শিক্ষকেরা ক্লান্ত হলেও শিশুদের ক্লান্তি ছিল না, যদিও পরদিন একাধিক জনের অসুস্থতার খবর জেনেছি। নতুনকে চাক্ষুস দর্শনের বিনিময়ে হলোই না হয় একটু শরীর খারাপ। তারপরও সবটা দেখা হয় নাই। দিনশেষে সবাই এসে হাজির চিড়িয়াখানার মূল ফটকে। বিকেলের হালকা খাবার গ্রহণ এবং বিদায় নিয়ে যে যার গন্তব্যে।

আমার ছেলের খুব কাছের দুই বন্ধুসহ তিনজনকে আমরা চারজন অভিভাবক মিলে সামলাতে হিমশিম খেয়েছি। আমার মনে হয়, স্কুলের ব্যবস্থাপনায় যাতায়াত হলে, অনেক শিশুর অভিভাবকই সঙ্গে যেতে চাইতেন না, তাতে শিক্ষকদের এত শিশুকে সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য হত।

তোত্তোচানের স্কুলের সঙ্গে নালন্দাকে মেলাতে যাওয়া সমীচীন হবে না নানা কারণে। কিন্তু এই ইট কাঠের নগরীতে আমাদের সন্তানেরা এমন আনন্দময় পরিবেশ পাচ্ছে, এমন শিক্ষকদের সান্নিধ্য পাচ্ছে সেই বা কম কী? 

মানবাধিকার কর্মী অপূর্ব দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যশোরে। লেখাপড়া করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মানবাধিকার, নারী অধিকার, জেন্ডার এবং নারীর ভূমি অধিকার নিয়ে তিনি কাজ করেছেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনে। এছাড়াও যুক্ত আছেন লেখালেখি এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত। ঢাকা ট্রিবিউন কর্তৃপক্ষ এর জন্য দায়ী নয়।
   

About

Popular Links

x