রমজানে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি ক্লান্ত বোধ করেন। ইফতারে তাই পর্যাপ্ত ফল, ফলের রস ও শরবত খাওয়া জরুরি। এজন্য ইফতারিতে রাখতে পারেন বেলের শরবত। এটি হজমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যার সমাধান হিসেবে চমৎকার কাজ করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বেলের উপকারিতা-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
রমজান মাসে বেশিরভাগ মানুষই মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকেন। যার ফলে এ সময় পেট পরিষ্কার রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ডুবো তেলে ভাজা কিংবা অতিরিক্ত মসলাদার সেসব খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। ফলস্বরূপ দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করে বেল। শুধু রোজায় নয়, বছরের অন্যান্য সময়ও এটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
রোজায় ক্লান্তি আসবেই। এক্ষেত্রে খেতে হবে শক্তি বাড়িয়ে তোলে এমন সব খাবার। বেল কিন্তু শক্তি বাড়াতেও দারুণভাবে কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম বেল থেকে পাবেন ১৪০ ক্যালোরি। সেই সঙ্গে এটি মেটাবলিক স্পিড বাড়াতেও কাজ করে। তাই প্রতিদিনের ইফতারে রাখুন বেল।
ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত বেল খেতে পারেন। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী হলো মিষ্টি স্বাদের এই ফল। এতে থাকে মেথানল নামক এক ধরনের উপাদান, যা ব্লাড সুগার কমাতে দারুণ কার্যকর। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবত না খেয়ে শুধু বেল খাবেন।
আলসারের সমস্যা
রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। সেখান থেকে আলসার দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এ সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর বেলের শাঁস। সপ্তাহে তিন দিন খেতে পারেন বেলের শরবত। এ ছাড়া বেলের পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলেও মিলবে উপকার।