বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এরপর রাতে এশার নামাজের পর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদে তারাবিহর নামাজ জামাতে আদায় করেন।
ফলে রবিবার (২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা করা হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শব-ই-কদর পালিত হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
মূলত তারাবিহ আদায়ের মাধ্যমে রোজার প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়। আর ভোররাতে সেহরি খেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সিয়াম পালন বা রোজা রাখার নিয়ত করেছেন। রহমত ও বরকতের দিক দিয়ে রমজান মাস বছরের অন্য ১১ মাস থেকে বেশি মর্যাদাপূর্ণ। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়।
ফলে প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দায় পরিণত হওয়ার সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ চলে এই মাসে। সেই সঙ্গে থাকে পুরনো সব ভুল-ত্রুটি শুধরে এক নিষ্পাপ মানুষে পরিণত হওয়ার অফুরন্ত সুযোগ।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথমাংশে রহমত, দ্বিতীয়াংশে মাগফিরাত অর্থাৎ ক্ষমা আর তৃতীয়াংশে নাজাত তথা দোজখ থেকে মুক্তি।