কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি থেকে নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঘোষিত এনসিপির গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটির এক নম্বর সদস্য করা হয় তাকে। পরে গতকাল শুক্রবার (৪ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে তার নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
ব্যবসায়ীর নাম ছাদিম কাজী। গোপালগঞ্জ জেলা শহরে তিনি মুদি ব্যবসা করেন।
শুক্রবার দুপুরে ছাদিম কাজী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘আমার অনুমতি ছাড়া আমাকে এনসিপি কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়েছে। এটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করেছে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না, এনসিপি দলেরও সদস্যও না। তাই আমার নাম এনসিপির কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অনুরোধ রইল।”
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর সই করা গোপালগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি প্রকাশ করা হয়। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির ১ নম্বর সদস্য করা হয় ছাদিম কাজীকে। এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যবসায়ী ছাদিম কাজীকে অনেকেই অভিবাদন জানান।
এ ব্যাপারে ছাদিম কাজী জানান, তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। গোপালগঞ্জ জেলা শহরে তিনি মুদি ব্যবসা করেন। এনসিপির কমিটিতে তার নাম দেখে অবাক হয়েছেন। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন।
ছাদিম কাজী আরও বলেন, “এসসিপির গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো. আরিফুল ইসলাম আমার স্কুলের বড় ভাই ছিলেন। তিনি হয়তো কমিটিতে আমার নামটি যুক্ত করতে পারেন।”
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলার প্রধান সমন্বয়ক মো.আরিফুল ইসলামকে তার মোবাইল ফোনে বার বার কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।