তরুণরা দেশের সম্পদ। অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। সম্পদের পরিবর্তে সেই তারুণ্য তখন পরিণত হয় বোঝায়। এমন সংকট কাটিয়ে উঠে ডিজিটাল মার্কেটিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তরুণ প্রকৌশলী ওমর ফারুক সোহাগ (২৪)।
অনলাইনে মানুষের নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির হার প্রমাণ করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব। ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। আকর্ষণীয় এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তোলে, অন্যদিকে জীবনকে করে তোলে স্বাচ্ছন্দ্যময়।
এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী ওমর ফারুক সোহাগ। বই, সঙ্গীত, ভিডিও, অভিনয়, ইউটিউব টিউটোরিয়াল, ব্লগিংসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে তার পরিচিতি। তার আগ্রহ প্রযুক্তি, সঙ্গীত, ডিজিটাল বিপণন ও লেখালেখিতে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কী
ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে কোনো পণ্য বা সেবার প্রচারণা (মার্কেটিং ক্যাম্পেইন) পরিচালনাই এককথায় ডিজিটাল মার্কেটিং। এই প্রচারণার ভিত্তি ইন্টারনেট। যত ধরনের অনলাইন মার্কেটিং আছে সবগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত।
অনলাইন গ্রুপ থেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞানলাভের পর বিষয়টি নিয়ে সোহাগের আগ্রহ জন্মে। তাদের মাধ্যমে কোর্স করে ২০২০ সাল থেকে কাজ শুরু করেন সোহাগ।
প্রথমে নিজের নামে একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে তিনি দেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে পরিচিতি পান।
বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন ওমর ফারুক সোহাগ।
তিনি বলেন, ‘‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’’
সোহাগ আরও বলেন, ‘‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কন্টেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’’
নতুনদের জন্য পরামর্শ
পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনাকে ঠিক এই কাজটিই করতে হবে। মানে সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দ্বিতীয় সুযোগ বলে কিছু নেই। একটু আলস্যের কারণে কাজ সামান্য খারাপ হয়েছে, এসব বলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে না। কারণ অনেক অভিজ্ঞ লোক বসে আছে নির্ভুলভাবে কাজ করে দেওয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে আপনার গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট অভিজ্ঞদের মধ্য থেকে কাউকে কাজটি দেবে। কারণ আপনি তার আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
মনে রাখতে হবে, আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের একজন প্রতিযোগী। আবার মাঝে মাঝে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারকে টানা ১৫ ঘণ্টারও বেশি কাজ করতে হয়। এই ধরনের চাপের মধ্যে কাজ করার মনোবল থাকতে হবে।